২০ লাখ টাকাসহ প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য গ্রেফতার

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 13:38:20

ম্যাগনেটিক রাইস কয়েন প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে ২০ (বিশ) লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি’র) অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড এর একটি দল।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মো. জসিম উদ্দিন(৪২), মো. সুজন মিয়া (৩২) ও মো.রিপন মিয়া(৩৬)।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে অবস্থিত সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব কথা বলেন সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের বিশেষ পুলিশ সুপার মোস্তফা কামাল।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের একটি দল রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বনানী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ম্যাগনেটিক রাইস কয়েন প্রতারণা চক্রের ৩ সদস্যকে ২০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করেছে।

তিনি আরও বলেন, তদন্তে জানা যায় প্রতারক চক্রটি জাতীয় পার্টির নেতা, সাবেক সংসদ সদস্য ও শিল্পপতি প্রকৌশলী এম এ তালহাকে জানায় তাদের কাছে বহু মূল্যবান ম্যাগনেটিক রাইস কয়েন আছে। ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি আমলের এই ম্যাগনেটিক কয়েনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে। যা আমেরিকার স্পেস রিসার্চ সেন্টার নাসা (ন্যাশনাল অ্যারেনটিক্স এন্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এর নিকট কয়েকশত কোটি টাকায় বিক্রি করা যাবে।

ভিকটিম কৌতূহলী হয়ে কথিত কয়েনটি দেখার ইচ্ছা প্রকাশ করে। এ ম্যাগনেটিক রাইস কয়েন ক্রয় এবং বিক্রয়ের প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি অবহিত হন। আসামিরা জানায়, তাদের পূর্ব পরিচিত ইন্ডিয়ান খ্যাতনামা কোম্পানির একজন প্রতিনিধি বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। তিনি কয়েনগুলো ক্রয়ে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

প্রতারক চক্রটি পরবর্তীতে ভিকটিম তালহাকে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে চক্রের আরেক সদস্য আমিনুল ইসলাম নিজেকে ইউরেনিয়াম এনার্জি লিমিটেডের সিনিয়র টেকনিশিয়ান হিসাবে দাবি করেন। তিনি দাবি করেন বাংলাদেশের অনেক নামী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তার মাধ্যমে ম্যাগনেটিক কয়েনের ব্যবসা করেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন আলোচনায় ভিকটিম তাদের কথায় আকৃষ্ট হয়ে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখালে প্রতারক চক্রের একাধিক সদস্য বিভিন্ন সময়ে তার বাসায় আসে।

নানান ধরনের লোভনীয় কথা বলে তাদের সাথে ম্যাগনেটিক কয়েন ব্যবসায় বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করেন। কথিত কয়েনের সাজানো মালিকের নিকট থেকে কয়েনের ইউনিট ক্রয়সহ বিভিন্ন কথা বলে ভিকটিমের কাছ থেকে ৯০ লাখ ৪ হাজার টাকা নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়।

পরে এ সংক্রান্তে বনানী থানায় একটি মামলা রুজু করেন ভিকটিম। মামলাটি সিআইডির নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর