রাজশাহীর পুঠিয়া রাজবাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসে রুমিয়া খাতুন (১৯) নামের এক তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
রুমিয়া নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর ইউনিয়নের রৌশনগিরী পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে। তার মৃত্যু ঘিরে রাজবাড়ি এলাকার মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুমিয়ার সঙ্গে বেশ কয়েকজন বন্ধু ও বান্ধবীও ছিল। তারা বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজবাড়ি এলাকায় আসে এবং ঘুরাফেরা করছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজবাড়িতে থাকা ভূমি অফিসের পেছন থেকে তার বন্ধু-বান্ধবীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়।
বিষয়টি রহস্যজনক হওয়ায় আশেপাশে থাকা মানুষ সেখানে গিয়ে দেখতে পান রুমিয়া অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তার পাশে ছোট একটি কীটনাশকের বোতল। স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ভূমি অফিসের একজন কর্মচারী নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শুরু থেকেই তাদের গতিবিধি ভালো ছিল না। উচ্ছৃঙ্খলভাবে তারা চলাফেরা করছিল। আমাদের ধারণা- মেয়েটিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করা হয়ে থাকতে পারে। এতে রাজি না হওয়ায় তাকে জোর করে বিষপান করানো হতে পারে। তবে দেখে মনে হয়েছে- তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পরে বিষপান করানোর নাটক করা হয়েছে।
পুঠিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য সন্ধ্যার দিকে মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালের দিকে ময়নাতদন্ত করা হবে।
ওসি বলেন, আমরা কিছু ক্লু পেয়েছি, তবে তা এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলা যাবে। তরুণীর পরিবারে সদস্যদের এসেছেন। তারা যদি মামলা করে তবে তা রুজু করে তদন্ত করা হবে। পরিবার মামলা না করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে।