সাভার: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের শিক্ষকরা। বিধি অনুযায়ী আইন অনুষদের ডিন নিয়োগ ও প্রভোস্ট কমিটির সভাপতির দায়িত্ব প্রদানসহ কয়েকটি দাবিতে পুরাতন ও নতুন দুইটি রেজিস্ট্রার ভবন অবরোধ করে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
বুধবার (২৫ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে বলে জানা গেছে।
অবরোধকারী শিক্ষকদের অন্যান্য দাবিগুলো হল- শিক্ষক লাঞ্ছনার বিচার, উপাচার্যের অ্যাক্ট, স্ট্যাটিউট ও সিন্ডিকেট পরিচালনায় বিধি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ, উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন ও জাকসু নির্বাচন।
এদিকে অবরোধের কারণে উপাচার্যসহ কোনো কর্মচারীই রেজিস্ট্রার ভবনে প্রবেশ করতে পারছেন না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্বিতীয় দিনের মতো বন্ধ রয়েছে।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে সহযোগী অধ্যাপক থাকা সত্ত্বেও অন্য অনুষদের শিক্ষককে আইন অনুষদের ডিন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যা ডিন নিয়োগের নিয়ম পরিপন্থী। উপাচার্য দুই সপ্তাহ আগে এই সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। তবে তিনি কথা রাখেননি। আবার, স্ট্যাটিউট অনুযায়ী তালিকা না মেনেই উপাচার্যের আস্থাভাজন একজন প্রাধ্যক্ষকে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত অনিয়ম কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা জানান, দাবি না মানলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১ম বর্ষের প্রবেশিকা অনুষ্ঠান প্রতিহত করা হবে।
এদিকে জাবি প্রশাসনের বক্তব্যে আজ সকালে জনসংযোগ অফিসের প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অবরোধকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী উল্লেখ করে বলা হয়, একটি শিক্ষক সংগঠন কোনো প্রকার পূর্ব অবহিতকরণ ব্যতীত বিনা নোটিশে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে শক্তি প্রয়োগ করে অফিস থেকে বের করে দেয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, রীতি এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, উপাচার্যের ‘অধ্যাদেশ বিরোধী’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দাবিতে গত ১৭ এপ্রিল থেকে আন্দোলন করে আসছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় শিক্ষক গ্রুপ আওয়ামী লীগ পন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’।