রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আমিরুল মোমনীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেছেন বিভাগের ১১ ছাত্রী।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীরা এই অভিযোগ করেন। অভিযোগকারী ছাত্রীরা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ থেকে শুরু করে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত।
লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যৌন নিপীড়ন নিরোধ সেলের সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু। তিনি বলেন, ‘চারুকলা অনুষদের কয়েকজন ছাত্রীর কাছ থেকে যৌন হয়রানির অভিযোগপত্র পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে।’
ওই ছাত্রীরা প্রথমে পৃথক পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেন। পরে তা যৌথভাবে যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ সেলে জমা দেন।
অভিযোগপত্রে ছাত্রীরা উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরী তাদেরকে যৌন হয়রানিমূলক কথাবার্তা বলে আসছিলেন। প্রকাশ্যে সিনিয়র-জুনিয়র ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে তিনি কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। নিজ চেম্বারে ডেকে বাজে কথা বলা, ছাত্রীদের ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন খারাপ ছবি ও ভিডিও পাঠান তিনি।
ছাত্রীরা আরও উল্লেখ করেন, তারা অধ্যাপক আমিরুলের অব্যাহত যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। বিভাগে গেলে শিক্ষকের ভয়ে তাদেরকে লুকিয়ে লুকিয়ে চলাফেরা করতে হয়। কখনও সামনে পড়ে গেলে শুরু হয় নানা কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা।
বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা জানান, এর আগেও অধ্যাপক আমিরুলের বিরুদ্ধে একাধিক সাবেক ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেনে। তবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সেগুলোর তদন্ত বন্ধ করিয়েছেন তিনি। ফলে ক্রমে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এই শিক্ষক।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে অধ্যাপক আমিরুল মোমেনীন চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। মোবাইল বন্ধ রেখেছেন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদারও।