বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়ে পুরস্কার পেল খুলনার ৩ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। বই পড়া শেষে পরীক্ষা দিয়ে ফলের ভিত্তিতে পুরস্কার হিসেবে বই-ই পেল তারা।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (পিটিআই) প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য এ পুরস্কার বিতরণী উৎসব।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ। এসময় অন্যান্যের মধ্যে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. হাবিবুল হক খান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার, খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপপরিচালক মেহেরুন নেছা, জেলা শিক্ষা অফিসার রুহুল আমীন, গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার ফারজানা রহমান, পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট স্বপন কুমার বিশ্বাস, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক সংগঠন হুমায়ুন কবির ববি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষায় ১৬টি বই থেকে দুটি করে প্রশ্ন থাকে। ফলাফলেই বোঝা যায়, কে কয়টি বই পড়েছে। যারা সাতটি বই পড়েছে, তাদের স্বাগত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আর ১৬টি বই পড়লে পেয়েছে সেরা পাঠক পুরস্কার। এছাড়া ১০টি বই পড়ে শুভেচ্ছা এবং ১৩টি বই পড়ে অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।
স্বাগত পুরস্কারপ্রাপ্তদের দেওয়া হয়েছে একটি ছোট বই। শুভেচ্ছা পুরস্কারপ্রাপ্তদেরও দেওয়া হয়েছে একটি বই। তবে এটি একটি বড় বই। এছাড়া অভিনন্দন পুরস্কারপ্রাপ্তরা পেয়েছে দুটি এবং সেরা পাঠক পুরস্কারপ্রাপ্তরা পেয়েছে তিনটি করে বই।
অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, আলোকিত মানুষ তৈরিতে বইয়ের কোন বিকল্প নেই। বই পড়ে নিজকে জানতে হবে, বিশ্বকে জানতে হবে। তোমরা খুবই সৌভাগ্যবান। কারণ এখন অভিভাবক ও শিক্ষকরা বইপড়ার জন্য প্রতিনিয়ত উৎসাহ দেয়। কিন্তু আমাদের সময় বই পাওয়াটা এত সহজ ছিলো না।
অতিথিরা আরও বলেন, এখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বিভিন্ন স্কুলে বই পৌঁছে দিচ্ছে। এটি একটি ভাল উদ্যোগ। বই পড়ে নিজেকে ও দেশকে এগিয়ে নেবে। এই প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা হবে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর।
এই কর্মসূচির আওতায় খুলনা মহানগরের ৪৩টি স্কুলের তিন হাজার তিনশত ৪১ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রথম পর্বে ১৮টি স্কুলের এক হাজার ছয়শত ৩৯ জন শিক্ষার্থী ও দ্বিতীয় পর্বে ২৫টি স্কুলের এক হাজার সাতশত দুই জন শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। তাদের মধ্যে স্বাগত পুরস্কার পেয়েছে এক হাজার আটশত চার জন, শুভেচ্ছা পুরস্কার পেয়েছে নয়শত ৭৮ জন, অভিনন্দন পুরস্কার পেয়েছে চারশত ৬২ জন এবং সেরাপাঠক পুরস্কার পেয়েছে ৯৭ জন।
সেরাপাঠক পুরস্কার বিজয়ী ৯৭ জনের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ১০ জনকে প্রদান করা হয় দুই হাজার টাকা সমমূল্যের বইয়ের একটি বিশেষ পুরস্কার। এছাড়াও লটারির মাধ্যমে চারজন অভিভাবককেও একই ধরণের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিটি স্কুলের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা এই বইপড়া কর্মসূচিতে অংশ নেয়।