সিলেটে ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভায় কমিটি গঠন করেছে জেলা বিএনপি। সবগুলো ইউনিটে ২১ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে কমিটি গুলো অনুমোদন করেন সিলেট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার।
নবগঠিত আহবায়ক কমিটিতে যারা আছেন, সিলেট সদর উপজেলায় আহবায়ক তারেক কালাম, দক্ষিণ সুরমায় সিরাজুল ইসলাম, কানাইঘাট উপজেলায় আব্বাস উদ্দিন চেয়ারম্যান, কানাইঘাট পৌর শাখায় আবিদুর রহমান কাউন্সিলর, জকিগঞ্জ উপজেলায় অ্যাডভোকেট কাওছার রশিদ বাহার, জকিগঞ্জ পৌর শাখায় ইকবাল আহমদ, জৈন্তাপুর উপজেলায় এবিএম জাকারিয়া, গোয়াইনঘাট উপজেলায় লুৎফুর রহমান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আব্দুল মান্নান মনাফ, বিশ্বনাথ উপজেলায় মোহাম্মদ গৌছ খান, বিশ্বনাথ পৌর শাখায় তালেব আলী, ওসমানীনগর উপজেলায় জরিদ আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলায় আব্দুর রশিদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ডা. আব্দুল গফুর, গোলাপগঞ্জ পৌর শাখায় হাসান ইমাদ, বিয়ানীবাজার উপজেলায় নজরুল ইসলাম খান, বিয়ানীবাজার পৌর শাখায় মো. নুরুল হুদা বাবুল ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ইফতেখার উদ্দিন ফেদল।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২ অক্টোবর ২৫ সদস্যের সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সকল ইউনিটে কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপির কাউন্সিল আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়। তবে নির্ধারত সময়ে কাউন্সিল করতে পারে নি জেলা বিএনপি।
বিএনপির এক নেতা জানান, দলীয় কোন্দলে কমিটি গঠনে দেরি হয়েছে। অনেক প্রার্থীকে বাদ দিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের আহবায়ক করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অনেক কেন্দ্রীয় নেতার সুপারিশও নেয়া হয়নি।
সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ বলেন, ত্যাগী ও সাহসী নেতাদের আহবায়ক কমিটিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। আন্দোলন ও সংগ্রামে এই কমিটি ভূমিকা রাখবে।
সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারের হামলা, মামলা ও দলীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার কারণে আমরা নির্ধারিত সময়ে ইউনিট কমিটিগুলো করতে পারিনি। এখন যেসব উপজেলা ও পৌরসভা কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে তারা দ্রুত ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড সম্মেলন শেষ করবে। এরপর উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন শেষ করে জেলা বিএনপির সম্মেলন হবে।
তিনি বলেন, অনুমোদিত কমিটিতে যোগ্যদেরই স্থান দেয়া হয়েছে। সবাই মিলে এই কমিটি নিয়ে কাজ করবে আশা করি।