সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন কাউন্সিলররা। স্বজনপ্রীতি, কমিশন বাণিজ্য ও পরিষদের সিদ্ধান্ত ছাড়া জায়গা অধিগ্রহণের অভিযোগও করেন তারা।
এসব অভিযোগ বুধবার (৪ মার্চ) অথবা বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন কাউন্সিলরা।
ইতোমধ্যে সিসিকের মোট ৩৬ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২২ জন অভিযোগপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। স্বাক্ষরিত অভিযোগের অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও মেয়রের একান্ত সচিব বরাবর পাঠানো হবে।
কাউন্সিলদের অভিযোগ, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সাধারণ সভায় উপস্থাপন ও আলোচনা না করে বর্তমান পরিষদকে উপেক্ষা করে দক্ষিণ সুরমা এলাকার তেঁতলী ইউনিয়নের বানেশ্বরপুর মৌজায় জায়গা অধিগ্রহণ করেছেন। যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে টাকার বিনিময়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিভিন্ন শাখায় লোক নিয়োগ করেছেন তিনি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বিল পাওয়ার ক্ষেত্রে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার মাধ্যমে কমিশন বাণিজ্য করেন মেয়র।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা ২২ কাউন্সিলরের মধ্যে বিএনপি দলীয়ও একাধিক কাউন্সিলরও রয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীমও রয়েছেন।
২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ২২ কাউন্সিলর সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরীর মাধ্যমে মেয়রের বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেব। আশা করি মন্ত্রণালয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। অভিযোগ জানানো ২২ কাউন্সিলরের নাম পরে জানানো হবে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।