রাজশাহীতে দুই কলেজছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়কালে হাতেনাতে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৪ মার্চ) রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ছদ্মবেশে অপহৃত ছাত্রদের উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- নগরীর হেতেম খাঁ এলাকার ইমরান আলী ভূঁইয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার আলী (২৩) এবং সিরাজগঞ্জের বয়রাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আমিরুল ইসলামের ছেলে ছাত্রলীগকর্মী আবির হাসান (২০)। এদের মধ্যে ইফতেখার রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
উদ্ধারকৃত ছাত্ররা হলেন- নওগাঁর পোরশা থানার নোনাগ্রামের একরামুল শাহ’র ছেলে তামিম শাহ (১৯) এবং সাপাহার থানার পিছোইল ডাঙা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে রিফাত হোসেন (২০)। এ বিষয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন উদ্ধারকৃতদের বন্ধু জোনাইদুর রহমান জীবন।
বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুধবার বিকেলে কলেজিয়েট স্কুলের সামনে থেকে তামিম ও রিফাতকে জোরপূর্বক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় একদল যুবক। এরপর তাদেরকে মারধর করে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণের টাকার জন্য তারা তামিমকে দিয়ে তার বন্ধু জোনাইদুর রহমান জীবনকে ফোন করায়। জোনাইদুর রহমান জীবন বিষয়টা তাৎক্ষণিক তামিমের বাবাকে ও বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে জানান।
এদিকে, ফোনে অপহরণকারীদেরকে টাকা দিতে চাইলে তারা জোনাইদুর রহমান জীবনকে প্রথমে নগরীর নিউ মার্কেটের সামনে ডাকে। এরপর রাজশাহী কলেজ ও পরে কলেজের হিন্দু হোস্টেলের সামনে ডেকে নেয়। সেখান থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে পুলিশ ছদ্মবেশে তাদেরকে গ্রেফতার করে।
তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মনি (২৩) ও সাদসহ (২০) আরও কয়েকজন অপহরণকারী পালিয়ে যায়। সেখান থেকেই অপহৃত তামিম ও রিফাতকে উদ্ধার করা হয়। অপহৃতের পরিবারের লোকজন রাজশাহীতে আসতে বিলম্ব হওয়ায় দুইজনকে সাক্ষী করে বন্ধু জোনাইদুর রহমান জীবন থানায় মামলা দায়ের করেন।