ঢাকা-কলকাতা রুটের একমাত্র ট্রেন ‘মৈত্রী এক্সপ্রেস’। বাংলাদেশ থেকে কলকাতাগামী যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এর ট্রিপ সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ট্রেনটি সপ্তাহে চার দিনের পরিবর্তে এখন পাঁচ দিন চলছে। এতে করে কমেছে যাত্রীর চাপ।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি মৈত্রী এক্সপ্রেসের বাড়তি ট্রিপ উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
এটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যায় এবং কলকাতায় গিয়ে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। সোম ও বৃহস্পতি এই দুই দিন ট্রেনটি বন্ধ থাকে।
রেলের মার্কেটিং বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মৈত্রী এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে ৭ হাজার ৬০০টি টিকিট এবং কলকাতা থেকে ঢাকা রুটে ৬ হাজার ৬১২টি টিকিট অর্থাৎ মোট ১৪ হাজার ২১২টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। যার পরিমাণ মোট আসনের ৯৪ শতাংশ।
এছাড়া ফেব্রুয়ারি মাসে মৈত্রী এক্সপ্রেসে ঢাকা থেকে কলকাতা রুটে ৬ হাজার ৮৮০টি টিকিট এবং কলকাতা থেকে ঢাকা রুটে ৬ হাজার ১৫০টি টিকিট অর্থাৎ মোট ১৩ হাজার ৩০টি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। যার পরিমাণ মোট আসনের ৮৭ শতাংশ।
এতে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসের তুলনায় ফেব্রুয়ারি মাসে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমেছে। টিকিট কাউন্টারেও নেই যাত্রীদের চাপ।
সার্বিক বিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে মার্কেটিংয়ের উপ-পরিচালক কালীকান্ত ঘোষ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ৪০ ভাগ যাত্রী চিকিৎসার জন্য যান। এসব যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে মৈত্রী এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়ানো হয়েছে। নতুন ট্রিপ বাড়ার ফলে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমেছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি সপ্তাহে ছয় দিনই ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালানোর জন্য। আমরা আশা করছি এ বছরের জুন-জুলাই মাসে নাগাদ ছয় দিনই মৈত্রী এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রী সংখ্যা কমেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকা-কলকাতা রুটে ট্রেনে সবসময়ই যাত্রীর চাপ বেশি থাকে। তবে নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে যাত্রী চাপ আরো বেড়ে যায়। এর অন্যতম কারণ হল এই সময় ভ্রমণের একটা মৌসুম থাকে। আর ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে ভারতগামী যাত্রীর সংখ্যা এমনিতে কিছুটা কমে যায়। এছাড়া করোনা ভাইরাস ভীতিতে অনেকে হয়তো এখন ভারত যাত্রা এড়িয়ে চলছেন। এই মাসে যাত্রী কম হওয়ার আরেকটি কারণ হল ফেব্রুয়ারি মাসে দিনের সংখ্যা কিছুটা কম হয়।
ক্যান্টনমেন্ট রেল স্টেশনে কলকাতা থেকে আসা এবং যাওয়া যাত্রীদের করোনা ভাইরাস চেক করার প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে মোট ৪৫৬টি চেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ১৪৪টি এসি সিট (কেবিন) এবং ৩১২টি এসি চেয়ার রয়েছে। এসি সিটের ভাড়া ৩ হাজার ৪৩৫ টাকা এবং এসি চেয়ারের ভাড়া ২ হাজার ৪৫৫ টাকা।