ছেঁউড়িয়া থেকে: কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় রোববার সন্ধ্যায় শুরু হচ্ছে বাউল সাধক ফকির লালন শাহ স্মরণে দোলপূর্ণিমা উৎসব। সারা দেশের লালন ভক্তরা এদিন ভোর থেকেই কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় আসতে শুরু করেছেন।
লালন সাঁইজি জীবদ্দশায় তার ভক্ত ও অনুরাগীদের নিয়ে দোল পূর্ণিমার দিনে এই উৎসব পালন করতেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর পালিত হয় লালন স্মরণোৎসব।
রোববার (৮ মার্চ) ছেঁউড়িয়ার লালন একাডেমি চত্বর ঘুরে দেখা যায় অসংখ্য লালন ভক্ত, অনুরাগী ও সাধুদের পাদচারণায় মুখর হয়ে আছে লালনের আখড়াবাড়ি প্রাঙ্গন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধু ভক্তদের আগমনও বাড়ছে ছেঁউড়িয়ায়। দুপুরের কড়া রোদে আগতদের শীতল পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে বাউলদের দরাজ গলায় লালন শাহর গান। আগত ভক্ত-সাধুরা সময়ে সময়ে গেয়ে উঠছেন লালনের গান— মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি।
এত কিছুর মাঝেও উৎসব শুরুর আগে লালন শাহর যৎসামান্য স্মৃতি নিয়ে পরিচালিত লালন মিউজিয়াম ঘুরে দেখছেন অনেকেই। মরমি এই বাউল সাধকের বিপুলসংখ্যক বাণী ছাড়া খুব বেশি কিছু সংরক্ষিত নেই জাদুঘরটিতে।
লালনের ব্যবহৃত জলচৌকি এবং তার ঘরের দরজা ছাড়া উল্লেখ করার মতো কিছুই নেই সেখানে। বাকি যা দেখা গেছে সবই তার ভক্ত বৃন্দের বলে জানান মিউজিয়াম সংশ্লিষ্টরা।
লালনের সামান্য স্মৃতি ও ব্যবহৃত অল্পকিছু বস্তুসামগ্রী এখন ‘অমূল্য নিধি’ হয়ে ধরা দিচ্ছে লালন ভক্তদের সামনে। লালন একাডেমির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত লালন মিউজিয়ামে এসব নিদর্শন দেখে আবেগে আপ্লুত হতে দেখা গেছে অনেক লালন ভক্ত ও অনুরাগীদের।
রোববার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় শুরু হয়ে ফকির লালন সাঁইজির দোলপূর্ণিমা উৎসব চলবে আগামী মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: মানুষ ভজার মন্ত্রে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব