রাজশাহী নগরীর শ্রীরামপুরে পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ আখি খাতুন নামে আরো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে করা হয়েছে। রোববার (৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের খুব কাছাকাছি স্থান থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে উদ্ধার করা হলো ৮ জনের মরদেহ।
ফলে দুর্ঘটনায় নিখোঁজদের মধ্যে শুধু বাকি রইল নববধূ সুইটি খাতুন পূর্ণিমা। নৌ-পুলিশের রাজশাহী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি জায়গা থেকে নিখোঁজ আখি খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে নববধূর খোঁজ এখনো পাওয়া যায়নি। তাকে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখা হয়েছে।'
তিনি বলেন, ‘নিখোঁজ নববধূ সন্ধানে ঘটনাস্থলের আশেপাশে কাজ করছে উদ্ধারকারী দল। নদীর ভাটির দিকে নৌ-পুলিশ ও বিজিবি’র টহল দল ট্রলার নিয়ে ভাসমান লাশেরও সন্ধান করছে।'
নৌকাডুবির ঘটনায় এরআগে উদ্ধারকৃতরা হলেন- কনের দুলাভাই রতন আলী (৩২), চাচাতো বোন মরিয়ম (৮), চাচা শামীম (৩১), স্ত্রী মনি খাতুন (৪২), তাদের মেয়ে রোশনি (৭), কনের ফুফাতো বোন রুবাইয়া খাতুন স্বর্ণা ও খালাতো ভাই এখলাস হোসেন (২২)।
হতাহতদের পরিবার সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) পদ্মার ওপারে পবা উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামের রুমন আলীর (২৫) সাথে এপারের ডাঙেরহাট গ্রামের সুইটি খাতুনের (১৬) বিয়ে হয়। বিয়ের পর সুইটি শ্বশুর বাড়িতে ছিলেন।
শুক্রবার (৬ মার্চ) কনে পক্ষ বরের বাড়ি থেকে নবদম্পতিকে আনতে যায়। সন্ধ্যার কিছুসময় আগে তারা বরের বাড়ি থেকে বের হয়ে দু’টি নৌকায় করে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে নগরীর শ্রীরামপুরের বিপরীতে নদীর মাঝামাঝি স্থানে নৌকা দু’টি ডুবে যায়।