কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটির (ক্যাম্পস) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে দুই কোটিরও অধিক লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত।
সোমবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেন্ট সোসাইটি (ক্যাম্পস) আয়োজিত 'সবার জন্য কিডনি স্বাস্থ্য: প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ' শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এতথ্য তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, সারাবিশ্বে ৮৫ কোটিরও অধিক লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি রোগ মহামারী আকারে বিস্তার লাভ করছে। বাংলাদেশের ২ কোটিরও অধিক লোক কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকলের একমাত্র চিকিৎসা ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি সংযোজন। যা এতটা ব্যয়বহুল যে এদেশের শতকরা ১০ ভাগ লোক তা চালিয়ে নিতে পারেন না। তাই কিডনি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে প্রতিরোধের উপর জোর দেওয়া উচিত।
অন্যদিকে সুস্থ জীবনধারা চর্চা ও কিডনি রোগের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ রোগীদের নিয়মিত কিডনি স্ক্রিনিং এর মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বক্তারা আরো বলেন, সুস্থ জীবনধারার প্রধান বিষয়গুলো হলো নিয়মিত ব্যায়াম ও কায়িক পরিশ্রম, পরিমিত স্বাস্থ্যসম্মত সুষম খাবার গ্রহণ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ-রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, ধূমপান পরিহার করা, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করা এবং তীব্র মাত্রার ওষুধ পরিহার করা। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করতে পারলে চিকিৎসার মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই, কিডনি স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে আমাদের জোর দেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন।
গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রেনাল এসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, কিডনি এওয়ারনেস মনিটরিং এন্ড প্রিভেনশন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক রেজওয়ান সালেহীন প্রমুখ।