প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবার সামনেই ইলমাকে হত্যা

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-24 00:43:45

পাঁচ বছর আগে নরসিংদীতে হত্যা করা হয় কিশোরী ইলমা বেগমকে (১১)। পাঁচ বছর আগের সেই হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট (সিআইডি)। তারা জানিয়েছে, কিশোরী ইলমার বাবার সামনেই মুগুর ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

সোমবার (৯ মার্চ) সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) ইমতিয়াজ আহমেদ।

তিনি বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই শাহজাহান গ্রুপের সঙ্গে ৩০ লাখ টাকার চুক্তিতে এ হত্যাকাণ্ডে ইলমার পরিবার অংশ নেয়।

এ ঘটনায় সিআইডি পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, ইলমার বাবা আব্দুল মোতালেব, মা মঙ্গলী বেগম, ইলমার ফুফাতো ভাই মাসুম মিয়া, মো. বাতেন ও শাহজাহান গ্রুপের প্রধান মো. শাহজাহান ভূঁইয়া। এর মধ্যে মাসুম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, নরসিংদীর বাহের চর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাহজাহান গ্রুপের সাথে সাবেক মেম্বার বাচ্চু গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ৩০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইলমাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পরে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ রাতে ইলমার দুলাভাই বাবুল ও ফুফাতো ভাই মাসুমের নেতৃত্বে সাত আটজন মিলে ধানক্ষেতে নিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ঘটনার সময় ইলমার বাবা উপস্থিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় ইলমার বাবা বলেন, আগে টাকা দাও পরে কাম সারো (হত্যা করো)। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সময়ে চার লাখ টাকা পান।

এরপর ওই বছরের ২৮ মার্চ নরসিংদী সদর মডেল থানা পুলিশ ইলমার মরদেহ উদ্ধার করে। আর এ ঘটনায় ওই বছরের ৩১ মার্চ ইলমার বাবা বাদী হয়ে বাচ্চু গ্রুপের বিলকিস, খোরশেদ, নাসুসহ আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর থানা পুলিশ আসামিদের ধরতে ব্যর্থ হলে সিআইডি মামলাটি তদন্ত শুরু করে।

সিআইডি মামলাটি তদন্ত শুরু করার পর ইলমার বাবা নিয়মিতভাবে আসামি পরিবর্তন করার জন্য সিআইডিতে আবেদন করতে থাকে। এতে সিআইডির সন্দেহ হলে তার পরিবারের প্রতি গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করা হয়।

পরে মাসুমকে গ্রেফতার করা হলে এ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন হয়। এখন বাবা-মাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করা হবে বলে জানায় সিআইডি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর