ঢাকা: 'আমি ২৭ বছর ধরে গাড়ি চালাই। কোনোদিন আমার গাড়ির নিচে চাপা মেরে মানুষ মারিনি। আর আমার সঙ্গে কেন এমন হল? আমার মেয়েটা চালকের দোষে মারা গেল। অভিযুক্ত ড্রাইভারের মৃত্যুদণ্ড চাই সরকারের কাছে’।
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের উপর দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন শোকের পাথর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মীমের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন। কলেজ থেকে ফেরার পথে গতকাল এই সড়কেই ঘাতক বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিথর হয়ে পড়ে ছিল মীমের দেহ।
বেপরোয়া গতির বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এর মধ্যে একজন দিয়া খানম মীম। বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন নিজেও একজন গাড়ী চালক। মেয়ে হারানো চালক বাবা অভিযুক্ত চালকের মৃত্যু মৃত্যুদণ্ডের দাবি করেছেন।
সোমবার (৩০ জুলাই) সকালে বার্তা২.কমকে সঙ্গে কথার সময় তিনি এ কথা বলেন। জাহাঙ্গীর বলেন, আমি নিজেও একজন বাসচালক। কতটা অদক্ষ হলে এমন ঘটনা ঘটে।
নিহত মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আরো বলেন, অদক্ষ চালকে রাস্তা ভরে গেছে। নানা ফাঁকে লাইসেন্স পাচ্ছেন ওরা। অনেকে আবার মাদকসেবন করে গাড়ি চালাচ্ছে। এগুলো দেখার কেউ নেই। এদের জন্যই আমার মেয়েকে প্রাণ দিতে হল।
এর আগে রোববার ২৯ জুলাই, দুপুরে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একদল শিক্ষার্থী এসে দাঁড়ায় এই ফুটপাতে। মিরপুর থেকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস এসে যাত্রী তুলছিল। পেছনে বাম দিক থেকে আরেকটি বাস এসে চাপা দেয় শিক্ষার্থীদের। বাসের চাপায় পিষ্ট হয় দুই শিক্ষার্থী। অন্যারা ছিটকে পড়ে এদিক-সেদিক। পথচারীরা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় পাশের কুর্মিটোলা হাসপাতালে।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সহপাঠী শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন আটকাতে পুলিশ এই অবস্থা বলে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন।