সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কর্মকর্তারা সরাসরি রাজস্ব খাতের আওতায় যেতে পারবেন না। পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই তাদেরকে যেতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এই রায়কে বৈষম্যমূলক বলে দাবি করেছে ‘প্রকল্প থেকে রাজস্বখাতে স্থানান্তর ফোরাম’।
শনিবার (১৪ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেসক্লবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগঠনটি এ দাবি করে।
মানববন্ধনে বলা হয়, উন্নয়ন প্রকল্পের জনবল সরকারের সকল বিধি বিধান মেনে চাকরিতে যোগাদান করে। বিএনপি সরকার প্রকল্পের কর্মকর্তা, কর্মচারী রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরে বৈষম্য সৃষ্টি করে। পরে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা, কর্মচারী পরিষদের স্মারকলিপির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়ন প্রকল্পের জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তরের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর উক্ত নির্দেশনার প্রেক্ষিতে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তর হয়ে আসছিল। কিন্তু হাইকোর্ট চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পের জনবল রাজস্বখাতে স্থানান্তর হবে না, মর্মে রায় প্রদান করেন। এটি একটি বৈষম্যমূলক রায়।
বক্তারা আরও বলেন, ইতিপূর্বে একই ধরনের প্রকল্পের জনবল হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে রাজস্বখাতে স্থানান্তরিত হয়ে চাকরিতে বহাল রয়েছে, আর যারা স্থানান্তরিত হতে পারে নাই তাহারা হাইকোর্টের মামলায় চলমান ছিলো। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মহামান্য হাইকোর্ট সেসব রিট মামলা বাতিল করে দেন। ফলে একই উন্নয়ন প্রকল্পের একই রায়ে কিছু জনবল রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তরিত হলেও বাকিরা স্থানান্তরিত হতে পারে নাই। এই বৈষম্যমূল রায় আমরা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে সংগঠনের সদস্য সচিব মো. শফিকুল ইসলাম, আহ্বায়ক শাহ আলমসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৯ ফেব্রুয়ারির ওই রায়ে আদালত বলেন, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া অনেক কর্মকর্তাই প্রকল্প শেষে মামলা করে সরকারের রাজস্ব খাতে নিয়োগ পাচ্ছেন। পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে পাশ কাটিয়ে, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে এমন নিয়োগে, নানান জটিলতায় পড়তে হয় মন্ত্রণালয়গুলোকে। তাই পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষার ভিত্তিতেই নিয়োগ হওয়া দরকার।
রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, এই রায়ের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে রাজস্ব খাতে নিয়োগ পাওয়ার পথ বন্ধ হলো।