রাজশাহীর পুঠিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত কয়েকদিন ধরে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে অনেক ছাত্রী ক্লাসে আসছে না। এ ঘটনায় ১৫ ছাত্রীকে জরুরিভিত্তিতে ক্লাসে ডেকে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৫ মার্চ) দুপুরের দিকে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার অজুহাতে গত বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সকালে ৮ম শ্রেণির ১৫ ছাত্রীকে মারধর করেন স্কুলের সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার সেন।
মারধরের শিকার তিনজন ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে তাদের পরিবার স্কুলে যেতে বারণ করে। সেজন্য তারা ক্লাসে যাচ্ছিল না। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার এবং পল্লব স্যার তাদের বাড়িতে বাড়িতে পিয়ন পাঠিয়ে ডেকে নেন। স্কুলে গেলে তাদেরকে মানসিকভাবে হয়রানি করেন এবং একপর্যায়ে ১৫ জনকে কাঠের লাঠি দিয়ে মারধর করে।
স্কুলের সহকারী শিক্ষক পল্লব কুমার সেন বলেন, ‘৮ম শ্রেণিতে প্রায় ১২০ জন ছাত্রী রয়েছে। এদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ২০-৩০ জন ছাত্রী উপস্থিত থাকছে। ক্লাসে উপস্থিতি বাড়াতে গত বৃহস্পতিবার অনুপস্থিত ছাত্রীদের আমি শাসন করেছি মাত্র।’
পুঠিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে নিয়ম অনুসারে শিক্ষার্থীদের মারধরের বিধান নেই। এখন করোনা আতঙ্কে যদি কেউ ক্লাসে না আসে, সেই ব্যাপারে জোর করা যাবে না। তবুও যদি কোনো শিক্ষক করে থাকেন, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’