রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও তার আত্মীয়কে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল ও কারারক্ষীসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১৫ মার্চ) বিকেলে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান রোববার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার সিদ্দিক মোল্লার ছেলে ও আরএমপি’র রিজার্ভ ফোর্সের কনস্টেবল সেলিম হোসেন (২২), বগুড়া জেলার গাবতলীর অমল চন্দ্রের ছেলে কারারক্ষী অভিমান্য (২৬), সোনাতলার আব্দুল জলিলের ছেলে কারারক্ষী তোফায়েল আহমেদ (২৫) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মৃত. খাইরুল ইসলামের ছেলে কারারক্ষী রবিউল আউয়াল রুবেল (২৩)।
রাজপাড়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শনিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ম্যানেজমেন্টে স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী খুরশিদ জাহান ও তার আত্মীয় জনি আহমেদ থানায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মাদক মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়ার বিষয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে অজ্ঞাত চারজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, ‘অভিযোগ দায়েরের পরপরই পুলিশ ভুক্তভোগীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে এবং পরে আটককৃতদের দেওয়া তথ্যে আরও একজনকে গ্রেফতার করে। পরে ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খুরশিদ জাহানের দায়েরকৃত দণ্ডবিধি আইনের ৩৯৪ ও ৪১১ ধারার মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতার চারজনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
শিক্ষার্থী খুরশিদ জাহানের দায়েরকৃত মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত পৌনে ৮টার দিকে খুরশিদ জাহান ও তার আত্মীয় জনি আহমেদ নগরীর টি-বাঁধ থেকে পায়ে হেঁটে শহরের দিকে ফিরছিল। পথিমধ্যে শিমলা পার্কের পাশে চারজন ব্যক্তি নিজেদের রাজপাড়া থানার পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়ে তাদের শরীর তল্লাশি শুরু করেন। পরে তাদের আটকে রেখে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং না দিলে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।
টাকা দিতে অপরাগত জানালে তাদের দুইজনকে টেনে হেঁচড়ে টি-বাঁধের নিয়ে যায় এবং বেধড়ক মারপিট করেন। পরে তারা খুরশিদ ও জনির কাছ থেকে প্রায় দুই হাজার টাকা এবং মোবাইল কেড়ে নেয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় তারা।