ক্ষণজন্মা মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে লাল-সবুজ বাতির আলোয় বদলে গেছে রংপুর। দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় রংপুরের চিরচেনা স্থাপনাগুলো হয়ে উঠেছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। রাতের অন্যরকম রংপুর দেখতে বেড়েছে সাধারণ মানুষসহ দর্শনার্থীদের আনাগোনা।
মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) রাত নয়টার পর থেকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মুজিব বর্ষের আলোকসজ্জা নজর কেড়েছে সবার।
বিশেষ করে সরকারি, আধা-সরকারি স্থাপনাসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ঘিরে আলোময় হয়েছে পুরো রংপুর জেলা। রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, নগর ভবন, জেলা পরিষদ ভবন, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি দর্শনার্থীদের মোহাবিষ্ট করে তুলে।
রাত সাড়ে দশটায় রংপুর জেলা পরিষদ চত্বরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সের মানুষদের। যাদের বেশিরভাগই রাতের লাল-সবুজ আলোকসজ্জায় আকৃষ্ট হয়ে এসেছেন বলে জানান।
লামিয়া ও স্মৃতি নামে দুই দর্শনার্থী বলেন, রংপুর জেলা পরিষদ ভবনটি আজ আমাদের কাছে অন্যরকম মনে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে ঘিরে এমন আলোকসজ্জা সত্যি চোখ জুড়ানোর মতো।
রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে কথা হয় আবুল কাশেম নামে চাকরিজীবীর সাথে। ওই যুবক জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মদিন উদযাপনে রংপুরকে অন্যরকম লাগছে। শহরের স্থাপনাগুলো আলোকিত করা হয়েছে। যা সত্যি ভালো লাগার মতো।
এদিকে শুধু রংপুর মহানগরেই নয়, জেলার অন্য উপজেলাগুলো সেজেছে আলোর খেলায়। আলোকিত হয়েছে সরকারি ভবনগুলো। তবে রংপুর জেলার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্বশুড়বাড়ি এলাকা পীরগঞ্জের আলোকসজ্জা প্রশংসনীয় বলেও জানিয়েছে অনেকেই।
রংপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদি হাসান সিদ্দিকী রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, পীরগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতার বাড়ি। সেখানকার মানুষরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখতে আলোয় আলোকিত করেছে পীরগঞ্জকে। বিশেষ করে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণকে দর্শনীয় করে তোলা হয়েছে।
আলোকসজ্জার বিষয়ে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, সারাদেশের মতো রংপুরেও গুরুত্ব সহকারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সরকারি স্থাপনাগুলোতে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।