কিশোরগঞ্জের ডিজিটাল রাজনীতিবিদ

জেলা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-30 21:00:19

কিশোরগঞ্জ: সব সময়ই তিনি অনলাইনে থাকেন। এডমিন ও মডারেটর হিসাবে কাজ করছেন একাধিক সামাজিক, সাংস্কৃতিক গ্রুপে, যাদের সদস্য সংখ্যা দশ লক্ষাধিক। যে কোনো সংবাদ, তথ্য, জনগুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-আন্তর্জাতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভাষ্য তিনি শেয়ার করেন জনস্বার্থে। এমন কি, ঘটনা-দুর্ঘটনার সংবাদটিও তাঁর মাধ্যমে কিশোরগঞ্জবাসী জানতে পারেন সবচেয়ে আগে।

শাহ আজিজুল হক তিনি। এক নামে রাজধানী ঢাকা ও জেলার রাজনীতি ও সামাজিক অঙ্গন তাঁকে চেনে। বিশেষ কোনো আলাদা বিশেষণ প্রয়োগ করতে হয় না আওয়ামী লীগের এই ডিজিটাল রাজনীতিবিদের জন্য।

‘আমি পৃথিবীর পাঠশালার ছাত্র। মানুষের কাছে থাকা, কাছাকাছি হওয়া আমার রাজনৈতিক শিক্ষার মূল কথা। প্রযুক্তি সে সুযোগ বিস্তৃত করেছে। তাই আমি সর্বশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমার কাজকে এগিয়ে নিচ্ছি’, বার্তা২৪কমকে বলেন তিনি। তিনি জানান, ‘দলনেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চান আর আমরা যদি এনালগ থাকি, তাহলে তা বাস্তবায়িত হবে না। একবিংশ শতকের উপযুক্ত রাজনীতিই আমাদের করতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের পতাকা তলে।’

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজুল হক জেলার পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন এক যুগের বেশি সময়। জেলা আইনজীবি সমিতির সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন একাধিক্রমে বহু বছর। ইলেক্ট্রোনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সাংবাদিকতায় যুক্ত এই নেতা বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনেও জড়িত।

একদা কমিউনিস্ট রাজনীতির নেতা শাহ আজিজ মুক্তিযুদ্ধের সন্তান। গণঅভুত্থান ও গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিকশিত এই নেতা কিশোরগঞ্জে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত ঐতিহাসিক খেতমজুর সমাবেশের সংগঠন। ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সম্পাদক। কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীও ছিলেন তিনি।

বিশ্ব রাজনীতির নাটকীয় পালাবদলের প্রেক্ষাপটে কমিউনিস্ট পার্টিতে থিসিস দাখিল করে শাহ আজিজ মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের প্রয়োজনে আওয়ামী লীগে যোগদানের তত্ত্ব পেশ করেছিলেন। সে সময় মতিয়া চৌধুরী, নূরুল ইসলাম নাহিদ, আসাদুজ্জামান নূর, নূহ উল আলম লেনিন আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তৎকালের ডেপুটি স্পিকার ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির প্রণোদনায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় দেখা করে শাহ আজিজও আওয়ামী লীগে শামিল হন।

কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার, প্রকাশনা, তথ্য, গবেষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার পর তিনি এখন প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। অনলবর্ষী এই বক্তার বক্তব্য শোনার জন্য মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। তথ্য ও তত্ত্বের ভিত্তিতে তাঁর বক্তব্য জনমোহিনী আবেগের সঞ্চার করে। তাঁকে চিহ্ণিত করা হয় কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসাবে।

রাজনীতিবিদ ও আইনজীবি হিসাবে শাহ আজিজ উলফা এবং শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার মামলায় অপরাধীদের শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রথম জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদী মামলার সরকারি কৌশুলী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করে দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগ কমিটিতে কিশোরগঞ্জ সদরের সিনিয়র ও অকৃত্রিম ভূমিপুত্র শাহ আজিজকে মনে করা হয় কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের বিকল্প ও অপরিহায নেতৃত্ব।

বার্তা২৪কমকে শাহ আজিজ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আর্দশে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সন্ত্রাস, মৌলবাদ, কালোটাকা, পেশীশক্তি, সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান এক্ষেত্রে আমাদের হাতিয়ার। পশ্চাৎপদতা, কূপকণ্ডুকতা ও অসার রাজনীতির কবর রচিত হয়ে গেছে, অতএব কারণে আমাদেরকে প্রগতি ও প্রযুক্তির অনুসরণ করতেই হবে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিকে মানুষের কল্যাণ ও উন্নতির মাধ্যম মনে করেই আমি আমার জীবনের পুরোটা সময় নিবেদন করেছি জনমানুষের জন্য। রাজনীতির ডাকে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, জেলে গিয়েছি, সংসদ নির্বাচন করেছি। আবারও ডাক এলে রাজনীতির জন্য যেকোনো ত্যাগ ও দায়িত্ব পালনের জন্য আমি সদা প্রস্তুত। কারণ আমি রাজনীতি ও নির্বাচনওেক আলাদাভাবে দেখি না। মনে করি, রাজনীতি ও নির্বাচন পরস্পরের পরিপূরক। তাই কিশোরগঞ্জ-১ আসনকে ডিজিটাল প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্য ধরে রাখতে আমি বদ্ধপরিকর। জ্ঞান ও মনীষার নেতৃত্বে উজ্জ্বল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমি অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর