করোনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বেশি খারাপ হলে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।
শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনায় দেশের পরিস্থিতি যদি বেশি খারাপের দিকে যায় তবে সার্বিক তথ্য একসঙ্গে পেতে জাতীয় কমিটি গঠন করা হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন করা এই মুহূর্তে ঝুঁকি আছে। ইভিএমে ভোট হওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই ঝুঁকি রয়েছে। সবাই হাত দিবে ইভিএমে। এজন্য হাত ধুয়ে ভোট দেবার কথা বলা হয়েছে।
বিদেশ ফেরতদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অবশ্যই ১৪ দিন ঘরে অবস্থান করবেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কন্টাক্ট করবেন না। খাবারটাও ঘরে বসে খাবেন। তাদের ব্যবহার করা জিনিস আলাদাভাবে পরিষ্কার করতে হবে। একইসঙ্গে এসব জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করবেন না। এরপরেও এসব পরামর্শ না মানলে সরকার আরো কঠোর হবে। ইতোমধ্যে জরিমানা করা হচ্ছে সারাদেশে।
নাসিমা সুলতানা বলেন, পোস্টার ও লিফলেট দিয়ে আমরা প্রচার করছি। তারপরও বলছি একটি টিস্যু পুনরায় ব্যবহার করা যাবে না। হাঁচি-কাশির পর সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সামন্য জ্বর বোধ করলেও ঘরে থাকবেন। জরুরি প্রয়োজন হলে মাস্ক পরে যাবেন।
তিনি বলেন, লকডাউন মানে সবাই বাড়িতে থাকবেন। অতি প্রয়োজনীয় ছাড়া অর্থাৎ দোকান, ওষুধের দোকান ছাড়া সব কিছু বাসায় থাকবেন। ওই এলাকার কেউ ভেতর থেকে বাইরে যেতে পারবেন না। বাইরে থেকে ভেতরে যেতে পারবেন না।
দাফন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দাফনের সময় আমাদের প্রটোকল থাকবে। ডব্লিউএইচও-এর নির্দেশনা ও ইরানে যেভাবে দাফন করা হয়েছে সেই সব বিবেচনায় করা হবে। আমরা দুই একদিনের মাঝে বিস্তারিত জানাবো।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন তিন জন আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ২০ জন এবং এক জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে যে ৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন এদের মাঝে একজন মহিলা (৩০), পুরুষ (৩০) ও বয়স্ক পুরুষ (৭০) আছেন। তিনি আইসিইউতে আছেন। তিনি গুরুতর অসুস্থ। পুরুষ একজন ইউরোপ দেশ ভ্রমণ করেছেন। বয়স্ক পুরুষ একজন প্রবাসী থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারী যিনি উনিও কন্টাক্ট করেছেন।