জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ-এর ৯০তম জন্মদিনে রংপুরে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা।
শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে রংপুরের পল্লী নিবাসে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে সাবেক এই রাষ্ট্র প্রধানের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়।
এদিকে, দলের সাবেক চেয়ারম্যানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আজ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের রংপুরে আসার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জন্মবার্ষিকীর সকল অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এ কারণে রংপুরে শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়া তেমন বড় কোনো আয়োজন রাখা হয়নি।
এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এরশাদপুত্র রাহগীর আল-মাহি সাদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক শাফিউল ইসলাম শাফী, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসির, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক লোকমান হোসেন, হাসানুজ্জামান নাজিম, জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন খবির লিটন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলনসহ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জন্মবার্ষিকী উদযাপন বাতিল করায় রংপুরে জুমার নামাজের পর মসজিদে মসজিদে দোয়ার আয়োজন করা হয়। ছোট পরিসরে ঘরোয়াভাবে বিকেলে পল্লী নিবাসে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল এবং সন্ধ্যায় রংপুর নগরীর দলীয় কার্যালয়ে কেক কাটার আয়োজন করেছে মহানগর জাতীয় যুব সংহতি।
উল্লেখ্য, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ২০ মার্চ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কোচবিহারের দিনহাটাতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রংপুর জেলায় শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৮৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। তিনি ১৯৮৬ সালে রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসন হতে এরশাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। রংপুরের পল্লী নিবাসের লিচুবাগানে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।