৫ শতাংশের এমপি মহিউদ্দিন

ঢাকা, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 10:42:55

ব্যাপক সমালোচনার মধ্যেও নীরবে ঢাকা-১০ আসনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা বিশ্বের সবকিছু যখন স্থবির, দেশেও উদ্বেগ উৎকণ্ঠা করোনাভাইরাস নিয়ে। তার মধ্যেই ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। যদিও এই নির্বাচন নিয়ে মানুষের বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিলো না। সারাদিন ধানমন্ডি এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে ভোট হলেও সেখানে ছিলো না কোনো জনগণ। অথচ জনগণের ভোটেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন।

এমনকি যিনি বিজয়ী হয়েছেন তিনিও নিজের ভোটটি দিতে পারেননি। তারপরেও তাকে জনপ্রতিনিধি বানানো হয়েছে। এই নির্বাচন নিয়ে সারাদেশের মানুষের মধ্যে এক ধরনের ক্ষোভ হতাশা বিরাজ করছিল। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে কেন এমন নির্বাচন এই নিয়ে নানা কথা উঠেছিল কয়েক দিন ধরেই।

কে শোনে কার কথা। নির্বাচন কমিশনের এক কথা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছি মরে গেলেও নির্বাচন করবো এমন অবস্থা। তাই তো সকল সমালোচনা উপেক্ষা করেই ভোট নিলেন। আর পুরো দেশ দেখলো এক অদ্ভুত নির্বাচন।

আগামী ৪ বছর ধানমন্ডি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে যিনি দায়িত্ব পালন করবেন তার জন্য মানুষ ভোট দিতে আসবে সেটাই স্বাভাবিক। সকাল থেকে খবর আসছিল ভোটার নেই। কোনো কোনো কেন্দ্রে দুই একজনকে দেখা গেলেও সেটা ছিলো খুবই কম।

দিন শেষে যখন নির্বাচন কমিশন থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে এবং বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায় মাত্র ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ মানুষ তাদের সমর্থন দিয়েছে। অর্থাৎ ৫ দশমিক ২৮ শতাংশের এমপি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।

অতীতে কোনো নির্বাচনে এতো কম ভোট পড়েছে তার নজির নেই। সবশেষ কয়েকটি নির্বাচনে ভোট পড়ার হার দেখা যাক। সব শেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০ দশমিক ২০ শতাংশ। যদিও সেই ভোট নিয়ে নানামুখী সমালোচনা আছে।

তার আগে দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০ দশমিক ০৪ শতাংশ। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচনের আগে এটিই ছিলো জাতীয় নির্বাচনে সর্বনিম্ন ভোট। তার আগে ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনে ভোটের হার ছিল ৮৭ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ঢাকা-১০ আসনে উপনির্বাচনে মোট ভোটার ছিলো ৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ জন। ভোট কেন্দ্র ছিলো ১১৭টি। তার মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫ জন। ভোট প্রদানের হার ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

ঢাকা-১০ আসনে মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলো ৬ জন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট দাঁড়িয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতা শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। বিএনপি’র ধানের শীষ নিয়ে ভোটে প্রার্থী ছিলেন শেখ রবিউল আলম। তিনি ভোট পেয়েছেন ৮১৭টি।

অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে জাতীয় পার্টির হাজী মো. শাহজাহান ৯৭ ভোট, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মিজানুর রহমান ডাব মার্কায় ভোট পান ১৮টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নবাব আলী হাসান আসকারী হারিকেন মার্কায় ভোট পেয়েছেন ১৫টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের কাজী মুহাম্মদ আব্দুর রহিম বাঘ মার্কায় পেয়েছেন ৬৫ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী যে ভোট পেয়েছেন তা মোট ভোটারের ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর