করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য রংপুরে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ী বেসিন (হাত ধোয়ার) বসানো হয়েছে। উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে নিয়মিত হাত ধোয়াসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে।
করোনায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং ছাড়াও বিনামূল্যে লিফলেট, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিচ্ছে বিভিন্ন সংগঠন। বেশি কিছু মুসল্লিদের জন্য মসজিদের ওযুখানাতে সাবান, সোডা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা হয়েছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর, সিটি করপোরেশন চত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সচেতনতা বাড়ানোর এমন কার্যক্রম দেখা গেছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্ট ছাড়াও গ্রামে-গঞ্জেও বাসানো হয়েছে অস্থায়ী বেসিন। ঘন বসতি এলাকাগুলোতে মাইকিং এর মাধ্যমে সচেতন করা ও বার বার হাত ধোয়ার প্রচারণা চলছে।
সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত জীবাণুমুক্ত করে ভিতরে প্রবেশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের প্রবেশদ্বারে করা হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। সরকারি অফিসগুলোর পাশাপাশি নগরীর জাহাজ কোম্পানি শপিং মলের সামনে হাত পরিষ্কার করতে বসানো হয়েছে অস্থায়ী বেসিন।
ভালোভাবে হাত ধোয়া ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব বাড়িয়ে অনেক মসজিদের ওযুখানাতে রাখা হয়েছে সাবানসহ সোডা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। বিভিন্ন স্থানে সাটানো হয়েছে 'হাত ধোয়ার অভ্যাস করুন, সুস্থ থাকুন' লেখা ব্যানার ও পোস্টার।
এদিকে রংপুর নগরীতে সেচ্ছাসেবি সংগঠন বাংলার চোখ, আমরাই পাশে, মানবতার কল্যাণ ফাউন্ডেশন, প্রতিজ্ঞা, তারুণ্যের আলো পাঠশালাসহ বেশ কিছু সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন করোনা প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে।
এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে বলে মনে করছেন অধ্যক্ষ ফখরুল আনাম বেঞ্জু। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রংপুরে গঠিত নাগরিক কমিটির এই আহ্বায়ক জানান, সচেতনতার বিকল্প নেই। যত বেশি সচেতনতা বাড়বে, ততোই করোনার প্রাদুর্ভাব রোধ করা সম্ভব হবে।