গায়ে একটি সাধারণ কাপড়ের গাউন বা অ্যাপ্রন, মুখে মাস্ক আর হাতে একজোড়া গ্লাভস পড়েই চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একই অবস্থা সেবিকা ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদেরও।
হাসপাতালের জরুরি, বহির্বিভাগ ও টিকিট কাউন্টারে কর্তব্যরত কাউকে পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি। ভেতরের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও একই চিত্র।
পিপিই না পেয়ে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের সুরক্ষার জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে রশি বেঁধে দিয়েছেন। রশিটির অপরপ্রান্তে থেকে রোগী ও তদের স্বজনরা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন।
চিকিৎসকরা জানান, যতটুকু সম্ভব দূরত্ব ও নিরাপত্তা বজায় রেখেই চিকিৎসা চলছে। পিপিই না থাকায় রশি বেঁধেই বাড়তি সতর্কতার অবলম্বন করছেন তারা। রোগীর সমস্যা শোনার আগে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছেন এবং কোনো প্রবাসী কিনা ও প্রবাসীর সংস্পর্শে ছিলেন কিনা এ ধরনের তথ্য নিশ্চিত হয়ে তারপর রোগীর কাছে গিয়ে সমস্যা অনুযায়ী ব্যবস্থাপত্র দিচ্ছেন।
১২০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন দুই হাজার রোগী ভর্তি থাকেন এবং বহির্বিভাগে সহস্রাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসেন। এভাবে কোনো সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার ছাড়া কাজ করতে গিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা।
মমেক হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গণপতি আদিত্য বলেন, ‘করোনার ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের সকলেরই পিপিই থাকা জরুরি। কিন্তু এ নিয়ে বারবার তাগাদা দিলেও কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে মাত্র ৭০ পিস পিপিই সরবরাহ করা হয়েছে, যা খুবই অপ্রতুল। গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে সেগুলো বিভিন্ন ওয়ার্ডে সরবরাহ করা হচ্ছে। আরও বেশি পরিমাণ পিপিই বরাদ্দের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে।’