ঢাকা: মিরপুর ১০ থেকে শাহবাগে যাবেন মিথিলা ফারজানা। দশ নম্বর মোড়ে আধ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পরিবহন না পেয়ে ভ্যানে রওনা হলেন। একটি ভ্যানে সঙ্গী হিসেবে পেলেন আরও ৫ যাত্রী।
যাত্রীর চাপে ভাঙা রাস্তা পার হয়ে কাজীপাড়া আসতে না আসতেই বাধলো বিপত্তি। ভ্যানের চাকা ফেটে রাস্তায় পড়ে গেলেন যাত্রীরা। কেউ পেলেন পায়ে ব্যথা কেউ কোমড়ে।
কয়েকদিনের পরিবহন ধর্মঘটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির এমন চিত্র এখন স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পাল্টায় পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় জনদুর্ভোগ এখন চরমে। রাজধানীর ভেতরে কয়েকটি বিআরটিসির বাস চলতে দেখা যায়।
শনিবার ৪ (আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে রাজধানীতে গণ পরিবহনের তীব্র সংকট। উবার পাঠাওয়ের মত সার্ভিস গুলো যারা ব্যবহার করতে পাচ্ছেন না সেই অল্প আয়ের মানুষ গুলো চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে।
মতিঝিল ও পল্টন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সড়কে গণপরিবহনের জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও কোন গাড়ির দেখা মিলছে না। মাঝে মধ্যে দু'একটি পিকআপ ভ্যান আসলে তাতে উঠতে শুরু হচ্ছে তীব্র প্রতিযোগিতা। হুড়োহুড়িতে কয়েকজন যাত্রীকে পড়ে যেতেও দেখা গেছে।
শান্ত নামের একজন ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, বাস সংকটের ফলে রিকশা সিএনজির ভাড়া অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেছে। মোহাম্মাদপুর থেকে শাহবাগ যেতে ৩০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে রিকশা ভাড়া। যেটা একজন ছাত্রের পক্ষে কষ্টসাধ্য।
এদিকে রাজধানীর বাস টার্মিনাল গাবতলি, মহাখালী, সায়দাবাদ এলাকায় থেকে দুপাল্লার কোন গাড়ি রাজধানী ছেড়ে যায়নি। পরিহবন শ্রমিক ও মালিকরা নিরাপত্তার অজুহাতে রাজধানীর ভিতরে আর বাহিরে বাস ছাড়ছেন না।
বেলা ১১ টার দিকে, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামটোর, শাহবাগ, মোড়ে মোড়ে অফিসগামী সহ সাধারণ যাত্রীদের পরিবহণের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এসময় কেউ কেউ কোন যানবহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই পথ ধরেন তাদের গন্তব্যস্থলে।
এদিকে ষষ্ঠ দিনের মত আবারও মাঠে নেমেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর সাইন্সল্যাব, ধানমণ্ডি ২৭, মিরপুর ১০ অবরোধ করে বসে বিক্ষোভ করছেন তারা।দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
ছবি: সুমন শেখ ও মেহেদী