জরুরি সেবার তালিকায় থাকার পরেও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডাররা তাদের সেবা চালু রাখতে গিয়ে নানা রকম পুলিশি ঝামেলায় পড়ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত দুই দিনে ঢাকাসহ দেশের অন্তত আটটি স্থানে পুলিশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার কোম্পানির স্টাফদেরকে পেটানোসহ কোথাও কোথাও অফিস খোলা থাকায় তাদেরকে নাজেহাল করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)-এর সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক।
ইমদাদুল বলেন, ঢাকায় অন্তত পাঁচটি ঘটনার কথা তারা জেনেছেন। এর মধ্যে মোহাম্মদপুরের কাটাসুরে অফিস খোলা রাখাকে অপরাধ হিসেবে নিয়ে ফিউচার টেক ইন্টারনেট নামের একটি আইএসপি’র স্টাফদেরকে পিটিয়েছে পুলিশ।
ফিউচার টেক ইন্টারনেটের স্টাফরা তাদেরকে সরকারের চিঠি দেখালেও পুলিশ সেটা আমলে নেয়নি, জানান ইমদাদুল।
আইএসপিএবি’র পক্ষ থেকে বিষয়টি টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলককে অবহিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের হিসেব অনুসারে ফেব্রুয়ারির শেষে দেশে ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার কার্যকর ব্রডব্যান্ড সংযোগ আছে। এক সংযোগ অনেকে ব্যবহার করায় প্রকৃত ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি। তাছাড়া সংযোগ সংখ্যায় কম হলেও ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমেই দেশের সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়।
গত ২৪ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রজ্ঞাপনে দেশব্যাপী করোনাভাইসের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্যে যে কয়টি সেবাকে জরুরি সেবা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে প্রথমবারের মতো ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ যুক্ত হয়।
সরকার ঘোষিত দশ দিনের সাধারণ ছুটির মধ্যে সব সেবা সীমিত করা হলেও বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেটকে এর বাইরে রাখার কথা বলা হয় প্রজ্ঞাপনে।
সরকারের এই নির্দেশনায়ই আইএসপিগুলো ইন্টারনেট সেবা চালু রেখেছিল বলে জানান ইমদাদুল।
এরা আগে বুধবার (২৫ মার্চ) মোবাইল ফোন অপারেটরদের সংগঠন–অ্যামটবও একই রকম অভিযোগ করেছেন।