স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢাকায় খাবার হোটেল-বেকারি খোলা রাখা যাবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার (২৮ মার্চ) ডিএমপি থেকে হোটেল মালিক-ব্যবসায়ীদের এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর অনেকটা দোটানায় পড়েছেন তারা। সংশ্লিষ্ট হোটেল-বেকারি মালিকেরা জানান, করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কয়জন খেতে আসবেন এ নিয়ে তারা সন্দিহান।
এ পরিস্থিতিতে হোটেল-বেকারি বন্ধ থাকবে নাকি ডিএমপি'র নির্দেশনা অনুযায়ী চালু থাকবে, তা নিয়ে আলোচনায় বসবেন হোটেল-বেকারি মালিক ব্যবসায়ী সংগঠন।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, বিকেল থেকেই বেকারি ও শুকনো খাবারের দোকানগুলো খুলতে শুরু করেছে। পাশাপাশি হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোও সকাল থেকে যেন খোলা রাখা হয় এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি হোটেলগুলো চালু রাখতে সার্বিক সহযোগিতা করবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বলেও জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, হোটেল ও বেকারি খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। টানা ১০ দিন ছুটি থাকায় কারিগররা বাড়িতে চলে গেছে। সেক্ষেত্রে নগরবাসীর কথা চিন্তা করে সীমিত আকারে হোটেল ও বেকারি খোলা রাখার চিন্তাভাবনা করছি।
সংগঠনের সভাপতি আরও বলেন, আমরা হোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এ বিষয় নিয়ে রোববার (২৯ মার্চ) দুপুরে আমরা একটি বৈঠক ডেকেছি।
অন্যদিকে ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, কমিশনারের কাছে থেকে নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমার এলাকার হোটেল ও বেকারির যে তালিকা আছে তাদেরকে জানিয়ে দিয়েছি। নির্দেশনা পেয়ে বেকারিগুলো খুলতে শুরু করেছে। আগামীকাল থেকে হোটেলগুলো খুলবে বলে আশা করছি।
এর আগে শনিবার ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি), অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি), সহকারী কমিশনার (এসি) এবং থানার ওসিদের কাছে পাঠানো এক বার্তায়, কয়েকটি নির্দেশনা দেন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হোটেল ও বেকারিগুলো খোলা থাকবে। কারণ বহু মানুষের রান্নার ব্যবস্থা নেই। হোটেল ও বেকারি সচল রাখার জন্য যারা সেখানে কাজ করেন, তাদের স্বাধীনভাবে চলাফেরা করার সুযোগ দিতে হবে।