করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ঘরে থাকা চট্টগ্রাম অঞ্চলের গ্যাসের (প্রি-পেইড) গ্রাহকরা ১ হাজার টাকা জরুরি ব্যালান্স নিতে পারবেন।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী খায়েজ আহমেদ মজুমদার জানান, গ্রাহকদের অসুবিধার কথা চিন্তা করেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা এক হাজার টাকা পর্যন্ত ইমারজেন্সি ব্যালেন্স ব্যবহার করতে পারবেন।
অন্যদিকে ঢাকা, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ ও নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিতরণের দায়িত্বে থাকা তিতাস গ্যাস আবাসিক গ্রাহকদের ২ হাজার টাকার জরুরি ব্যালান্স সুবিধা ঘোষণা দিয়েছে।
এদিকে, বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটারে টাকা না থাকলেও ফোনে যোগাযোগ করলেই মিটারের ব্লক খুলে দেবে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামছুল আলম জানান, বিদ্যুতের বিল দেওয়া সহজ। অনলাইনে এ বিল দেওয়া যায়। এ জন্য প্রি-পেইড মিটারে ইমারজেন্সি ব্যালেন্স রাখার ব্যবস্থা না রাখলেও, গ্রাহকরা রিচার্জ করতে অসুবিধা হলে কল করে যোগাযোগ করলেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন।
অর্থাৎ কোন গ্রাহক যদি মিটার রিচার্জ করতে না পারেন তবুও নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন। অন্যদিকে পোস্ট-পেইড গ্রাহকরা ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৪ মাসের বিল জুন মাসে গিয়ে দিতে পারবেন। এতে তাদের কোনো রকম বিলম্ব মাশুল দিতে হবে না। জুনের পর গিয়ে বিল দিতে হলে সে ক্ষেত্রে বিলম্ব মাশুল দিতে হবে বলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্র জানিয়েছে।
করোনার কারণে ব্যাংকে জনসমাগম এড়াতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।