স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালিত জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছেন অধিদফতরের পরিচালক ডা. শানিলা ফেরদৌসি।
মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের ফেসবুক পেজ থেকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ বিষয়ক সরাসরি অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
ডা. শানিলা ফেরদৌসি বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় বর্ষা পূর্ববর্তী এডিস মশার ঘনত্ব জরিপ শেষ হয়েছে। জরিপটি গত ৫ মার্চ থেকে চলে ১৪ মার্চ পর্যন্ত। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯৮টি ওয়ার্ডের ১০০ স্থানের ২ হাজার ৯৯৬টি বাড়িতে এ জরিপ চালানো হয়। জরিপে দেখা গেছে- ৫৬টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব শূন্য। আর ৪৪টি স্থানে ঘনত্ব ছিল ১০ থেকে ১৩.৩ এর মধ্যে। যেখানে ইনডেস ২০ এর বেশি ঘনত্ব হলে ঝুঁকিপূর্ণ বলা হয়। সে হিসেবে জরিপের ফলাফলে এডিস মশার ঘনত্ব ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আজ ভিডিও কনফারেন্সে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও জনগণকে করোনাভাইরাসের পাশাপাশি ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। করোনা রোধে অধিকাংশ মানুষ এখন বাড়িতে অবস্থান করছেন। তাই বাড়ির আঙ্গিনা ও ছাদ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে এডিস মশার লার্ভা সৃষ্টি না হয়। আর ঘুমানোর সময় পরিবারের সবার মশারি ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ প্রতিরোধ শাখা এপ্রিল মাসকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের মাস ঘোষণা করেছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে এইটুআই’র সহায়তায় একটি অ্যাপসের কাজ চলছে। এতে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগী, চিকিৎসা প্রাপ্ত রোগীর সংখ্যা, সুস্থ রোগীর সংখ্যাসহ সার্বিক তথ্য পাওয়া যাবে। এছাড়া ডেঙ্গুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার তালিকা ও পার্শ্ববর্তী হাসপাতালের তথ্যও পাওয়া যাবে এই অ্যাপসে।’