মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি জানিয়েছে, তারা দেশেই নিজস্ব প্রযুক্তিতে ভেন্টিলেটর উৎপাদনের খুবই কাছাকাছি চলে এসেছে।
এরইমধ্যে তাদের ডিজাইন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি অঙ্গ সংস্থার অনুমোদন পেয়ে গেছে।
ভেন্টিলেটর উৎপাদনের তিনটি ধাপের মধ্যে ইতিমধ্যে এমআইএসটি দ্বিতীয় ধাপে পৌঁছে গেছে, যেটি কয়েক দিনের মধ্যে শেষ হবে। এরপর ৪ এপ্রিল থেকে ঢাকার কম্বাইন্ড মিলিটারি হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউ বিভাগে এর ক্লিনিক্যাল টেস্ট হবে।
সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপরই ওয়ালটনের মাধ্যমে ব্যাপকভিত্তিক উৎপাদনে যাওয়া যাবে বলে জানান এমআইএসটি-এর বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান কর্নেল সৈয়দ মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ক্লিনিক্যাল টেস্ট হয়ে গেলে এরপরেই আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালকের কাছে এটি জমা দেবো। তাদের সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়ে গেছে। তারাই এই ডিভাইসটির স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক অনুমোদনের ব্যবস্থা করবেন।
ভেন্টিলেটর হল এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে শ্বাসকষ্টের রোগীদের বিকল্প পন্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস চালু রাখা যায়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে ফুসফুস অনেক ক্ষেত্রেই ঠিক মতো কাজ করে না। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে অনেকই মারা যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের আক্রমণের কারণে বাংলাদেশেও অনেক ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হবে। সেই চিন্তা থেকেই মার্চ মাসের ২০ তারিখ থেকে এমআইএসটি এ বিষয়ে কাজ শুরু করে।