কক্সবাজারে পর্যটকদের নিরাপত্তায় ৬২ সিসি ক্যামেরা

চট্টগ্রাম, জাতীয়

কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 14:51:28

কক্সবাজার: পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ছুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। আর এসব ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করতে রীতিমতো হিমশিম খেত পুলিশ। তাই অপরাধ দমনে কক্সবাজার শহরের ৪০টি পয়েন্টে ৬২টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সার্বক্ষণিক ফুটেজ মনিটরিংয়ের লক্ষ্যে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নির্মিত হয়েছে সিসি ক্যামেরার কন্ট্রোল রুম। এটি পর্যবেক্ষণে নিয়োগ দেয়া হয়েছে লোকবলও।

রোববার (৫ আগস্ট) সকাল থেকে শুরু হয়েছে এসব সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামালের হাত দিয়েই গত শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করার কথা থাকলেও সফর বাতিল হওয়ায় তা হয়ে উঠেনি।

রোববার থেকে সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে জানিয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একেএম ইকবাল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত নগরীর শহর কক্সবাজার। দেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে প্রতিবছর এখানে বেড়াতে আসেন লাখ লাখ পর্যটক। সম্প্রতি রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে কক্সবাজারের গুরুত্ব বিশ্বব্যাপী আরও বেড়েছে। ফলে পর্যটন শহরে অবস্থান করছে বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত কয়েকশ বিদেশি নাগরিক। আর লাখ লাখ পর্যটকের আগমনকে লক্ষ্য করে মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীসহ নানা অপরাধী।

তিনি আরও জানান, এসব বিষয় মাথায় রেখেই নিরাপদ পর্যটনের লক্ষ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা নেয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন, মনিটরিং ভবন নির্মাণ, ক্যাবল সংযোগ ও লোকবল নিয়োগ সব কিছু সম্পন্ন হওয়ায় আজ থেকে সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বার্তা২৪.কমকে জানান, অপরাধীরা এমনিতেই মানসিকভাবে দুর্বল প্রকৃতির হয়। সমাজ ও আইনকে ফাঁকি দিয়েই তারা অপরাধ করে। সিসি ক্যামেরার কারণে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ অপরাধী অপরাধের অন্ধকার পথ ছেড়ে দেবে বলে তারা আশা করছেন।

তিনি আরও জানান, কক্সবাজার পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অলিগলিসহ সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউপির লিংকরোড় পর্যন্ত দেড় শতাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়। তবে আপতত কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ৪০টি পয়েন্টে ৬২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

সিসি ক্যামেরার আওতায় আসা স্থানগুলো হলো- বাস টার্মিনাল পুলিশ বক্স ও সিএনজি পাম্প, কক্সবাজার কারাগার, স্টেডিয়ামের সামনে ও মোহাজের পাড়ার মোড়, সদর হাসপাতালের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশের মোড়, জেলা শিক্ষা অফিসের সামনে (সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়), গোলদিঘীর পাড়ের দক্ষিণ মোড়, অগগমেধা ক্যাং (বৌদ্ধ মন্দির ) সড়ক, বার্মিজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের উত্তর মোড়, বড় বাজার সামনে মোড় ( বাজারঘাটা), ভোলাবাবুর পেট্রোল পাম্প, লালদিঘীর পূর্ব পাড় মসজিদের সামনে, পৌরসভার সামনে, গুমগাছ তলা (শ্যামলী কাউন্টারের পাশে), বিমানবন্দর গেইটের সামনে, ঝাউতলা হোটেল রেনেসার সামনের যাত্রী ছাউনিতে, হলিডের মোড়ের যাত্রী ছাউনির সামনে ও পিটিআই স্কুলের সামনের মোড়ে (পিডিবির সামনে) সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও আরআরআরসি অফিসের সামনে (বাণিজ্য মেলার মাঠ), লাবণীর মোড়ের যাত্রী ছাউনি, কল্লোল মোড়, হান্ডি রেস্টুরেন্টের মোড়, সি ইন পয়েন্ট ট্যুরিস্ট পুলিশ বক্স, সুগন্ধার মোড় ( ড্রাগন মার্কেটের সামনে), কলাতলীর পেছনের মোড় (সি ক্রাউন এর সামনে), কলাতলীর মোড়, হোটেল সি প্যালেসের উত্তর ও দক্ষিণ পাশ, সুগন্ধা পয়েন্ট ট্রাফিক পুলিশ বক্স, লং বিচের পাশে ( মোহাম্মদীয়া হোটেল সামনের পশ্চিম পাশ), নিরিবিলি অর্কিড এর এটিএম বুথের পাশে, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে (কটেজ জোনের পাশে) জাম্বুর মোড়, গোলচত্বর মোড়ের দক্ষিণ পাশে ( ইউএনএইচসিআরের পেছনের রাস্তা), পাসপোর্ট অফিসের সামনে, সার্কিট হাউস গেইট, পুলিশ সুপার বাসভবনের সামনের মোড় ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর