চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে দেশের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে তাপমাত্রা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠা-নামা করছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী দুই দিন পর এ আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির প্রবণতা রয়েছে। একই সঙ্গে ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে।
বুধবার (১ এপ্রিল) সকালে কিছুটা ঠাণ্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতা বাড়তে থাকে। আকাশও বেশ পরিষ্কার রয়েছে। ঢাকায় ঘণ্টায় ৫-১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে।
এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে যশোরে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবারের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল শ্রীমঙ্গলে ১৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, আরও কয়েকদিন দেশের কয়েকটি স্থানের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। কয়েকদিন পরই গ্রীষ্মকাল, সে সময় প্রায় প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এখন বৃষ্টির প্রবণতা কম থাকবে। তবে যেকোনো সময় ঝড়ো হাওয়াসহ সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।
সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সীতাকুণ্ড, ফেনী, রাঙামাটি, মাইজদীকোর্ট, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।