ছোট মামলার জামিনযোগ্য আসামি ও বড় মামলার সাজা শেষ হতে চলা প্রায় ৩ হাজার ২০০ কারাবন্দীর মুক্তির প্রস্তাব করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া, আরও দেড় হাজার আসামির মুক্তির একটি তালিকা প্রস্তুত করছে তারা। ছোট মামলা অর্থাৎ চুরি, মারামারি অথবা দীর্ঘ সময় কারাবন্দী রয়েছেন এমন সব আসামিদেরকেই মুক্তির বিষয়ে চিন্তা করছে কারা কর্তৃপক্ষ।
রুটিন কাজের অংশ হিসেবে এই তালিকা প্রণয়ন করা হলেও বর্তমানে করোনার কারণে এই প্রক্রিয়া আগের তুলনায় গতি পেয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রায় ৩ হাজার ২০০ বন্দীকে মুক্তির প্রস্তাব করে একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, আমরা তিন হাজারের বেশি কিছু বন্দীর একটি তালিকা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন ও বিচার বিভাগে যাবে। জামিনযোগ্য ধারায় বিচারক তাদের জামিন দিলেই মুক্তি দেবে কারা কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দেশের ৬৮ কারাগারের ৯০ হাজারের মতো বন্দী রয়েছে। যা ধারণক্ষমতার তিনগুণ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাই জামিনযোগ্য ধারায় সারাদেশের বন্দীদের মধ্যে প্রায় তিন হাজার ২০০ জনকে মুক্তির প্রস্তাবের তালিকা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। যারা ছোট বড় ভিন্ন মামলার আসামি। কেউ কেউ তাদের দীর্ঘ সাজার শেষের দিকে। কারো জামিনযোগ্য অপরাধ।
অন্যদিকে, পৃথক অন্য একটি আইনে এই তালিকার পর আরো প্রায় দেড় হাজার জামিনযোগ্য কারাবন্দীদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেই তালিকাও প্রায় চূড়ান্তের পথে।
কারা সূত্র বলছে, ২০ বছর সাজা খেটেছেন এমন কয়েদিদের মধ্যে যারা খুব অসুস্থ, অক্ষম বা বৃদ্ধ, তাদের জন্যই এ ধারা প্রযোজ্য। এ ছাড়া কেউ খুব ভালো আচরণ করলে তার ক্ষেত্রেও ধারাটি প্রয়োগ হতে পারে।
তবে এটা শুধু করোনাভাইরাসের কারণে নয়। প্রতিবছরই রুটিন কাজের অংশ হিসেবে কারা কর্তৃপক্ষ এরকম প্রস্তাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে দিয়ে থাকে।
কারাবিধির ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী এর আগে ২০১০ সালে এক হাজারের বেশি বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।