দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে মহাসড়কে যান চলাচল ও জনসামগম নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আর এসব গণ জমায়েত নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী। সাধারণ মানুষকে ঘরের বাইরে বের হতে নিরুৎসাহিত করা ও সকলের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন সেনা সদস্যারা।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই দেশের প্রায় সব জেলাতেই সেনা টহল পূর্বের তুলনায় আরো বেশি জোরদার করা হয়েছে।
সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সিলেট মাঠে নেমেছে সেনাবাহিনী ও র্যাব। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে সেনাবাহিনী ও র্যা ব সদস্যরা আলাদা ভাবে টহল শুরু করেন। তাদের টহল শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায় নগরের রাস্তাঘাট। সিলেট নগর ও জেলার ১৩ উপজেলায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনীর ১৩ টিম। প্রতিটি টিমের সঙ্গে স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
বগুড়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণ রোধে বগুড়া-ঢাকা ও বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী। শহরের প্রবেশ মুখ ও সাতমাথা এলাকায় অবস্থান নিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করছে সেনা সদস্যরা। এর আগে বুধবার (১ এপ্রিল) মাইকিং করে সাধারণ জনগণকে অপ্রয়োজনে বাহিরে ঘোরা ফেরা না করে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ারও ঘোষণা দেয় তারা।
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে করোনাভাইরাস রোধে সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী সব ধরনের জনসমাগম এড়ানো এবং সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রাখার নিশ্চিত করার লক্ষে সকাল থেকেই টহল শুরু করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রশাসন। এসময় সামাজিক দূরত্ব বজায়ে রেখে চলার জন্য হ্যান্ড মাইকে সবাইকে অনুরোধ করেন যৌথভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম ও সেনাবাহিনীর পক্ষে ক্যাপ্টেন রিদওয়ান।
মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছে। এতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে মেহেরপুর জেলাশহরসহ জেলার সড়ক ও বাজারগুলো। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জেরা থেকে রক্ষা পেতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন ঘর থেকে বের হওয়া মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নাটোরে সাধারণ মানুষদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা শহরের বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছেন। এসময় মাইকিং করে রাস্তায় বিনা কারণে ঘোরাঘুরি না করার এবং সর্বদা মাস্ক পরিধান করারও পরামর্শ দেন সেনাসদস্যরা।
গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে গণজমায়েত ঠেকাতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী। পৃথকভাবে পুলিশ সদস্যরাও মাঠে রয়েছেন। এসময় বাহিরে থাকা মানুষদের করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ ঘরে ফিরে যেতে ও ঘরে থাকতে অনুরোধ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া সড়ক ও মহাসড়কে অপ্রয়োজনীয় যানবাহনগুলোর গতিরোধ করে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।