আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কঠোর হচ্ছে সেনাবাহিনী। এই ঘোষণার পর দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রংপুরেও ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও র্যাব সদস্যদের মধ্যে।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টিন) এর বিষয়টি নিশ্চিত করতে রংপুরে কঠোর অবস্থানে পুরো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে করে গত দুই দিন সড়কে লোক সমাগম ও যানবাহন দেখা গেলেও আজ অনেকটাই সুনসান।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে রংপুর নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চোখে পড়ার মতো অবস্থান। টহল বাড়িয়েছে র্যাব ও সেনা সদস্যরা। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে পুরো নগরী।
দুপুরে নগরীর শাপলা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, মেডিকেল মোড়, কাচারী বাজার, লালবাগ, পার্কের মোড়, মডার্ণ মোড়সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চত্বর ও সড়কে পুলিশি চেকপোস্ট দেখা গেছে। এসব চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের সচেতন করছেন। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ করছেন।
র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কঠোর তৎপরতায় মহানগরীর সড়ক, মহাসড়ক, বিভিন্ন অলি-গলি ফাঁকা হতে শুরু হয়েছে। পুলিশের টহল বেড়েছে অলিগলির ভিতরেও। এতে কমে গেছে বাইরে বের হওয়া।
প্রত্যেকটি থানা এলাকায় সঙ্গরোধ (হোম কোয়ারেন্টাইন) ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাইক ও হ্যান্ড মাইক ব্যবহার করে বাড়ি-বাড়ি সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আইন অমান্যকারীদের জেরা করা সহ তাৎক্ষণিক শাস্তিও দিচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে এমন কঠোর তৎপরতায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ রংপুর নগরে ছোট যানবাহন চলাচলও কমে গেছে। জরুরি সেবার গাড়ি ছাড়া দেখা মিলছে না অন্য বাহনগুলো। বেশির ভাগ সড়কের অবস্থা এখন ভুতুরে।
এদিকে বাইরের পরিবেশ এমন থাকলে করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের প্রচেষ্টা স্বার্থক হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলেছেন, সরকারি বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। অহেতুক কেউ বাইরে ঘোরাফেরা বা জমায়েতের চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।