প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) গত বুধবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
রামেক ল্যাবে প্রথম দিনে আসে ৫ জনের নমুনা। আর দ্বিতীয় দিনে দুটি। কিন্তু তৃতীয় দিনে কোনো নমুনা পাননি হাসপাতালের করোনা বিশেষজ্ঞ টিম।
রামেক অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী শুক্রবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ল্যাবের কার্যক্রম শুরুর তৃতীয় দিন গেল আজ। কিন্তু আমাদের কাছে এদিন কোনো নমুনা আসেনি। কয়েকজন কল করে প্রাথমিক বিষয়ে কথাবার্তা বলেছেন। তবে তাদের টেস্ট করার মতো উপসর্গ মেলেনি। ফলে তৃতীয় দিনে নমুনা শূন্য থাকছে ল্যাব।
তিনি আরও বলেন, আমরা আগে ৭টি নমুনা সংগ্রহ করেছিলাম। সেগুলোর টেস্ট শেষে প্রতিবেদন ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রিপোর্ট জানানো হচ্ছে। আর একজন রোগীকে আমরা নমুনা নেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছিলাম। তবে তিনি ছাড়পত্র না নিয়েই হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। ফলে তার নমুনা নেওয়া যায়নি।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ও করোনা বিশেষজ্ঞ টিমের ইনচার্জ ডা. সাবেরা-গুল-নাহার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা প্রস্তুত আছি। সবাই কাজে বেশ মনোযোগী। চিকিৎসক এবং টেকনিশিয়ানরা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ল্যাবে ছিলাম। কয়েকজন ব্যক্তি নমুনা দিতে চেয়েছিলেন। আমাদের টিমের গাড়ি নিয়ে গিয়ে ওই নমুনা আনার কথা ছিল। কিন্তু তারা পরে জানিয়ে দেন— আজ নমুনা দেবেন না। আমরা তো আর জোর করতে পারি না। ফলে নমুনা পাওয়া যায়নি।
ডা. সাবেরা-গুল-নাহার আরও বলেন, মানুষ হটলাইনে কল করে তথ্য জানতে পারছে। যাদের করোনা উপসর্গ আছে তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ করলেই আমরা যাচাই-বাছাই করে নমুনা নেব। তবে আমার যতটুকু ধারণা মানুষের মধ্যে টেস্ট করাতেও এক প্রকার ভীতি কাজ করছে। যেটা মোটেও কাম্য নয়।
রামেক সূত্র জানিয়েছে, গত ১ এপ্রিল রামেকে স্থাপিত করোনা শনাক্ত ল্যাবে পাঁচজনের নমুনা নিয়ে কার্যক্রম শুরু করা হয়। যার মধ্যে ৪টি নমুনা বগুড়া জেলা থেকে এসেছে। অপরটি রাজশাহীতে আইসোলেশনে থাকা একজন যুবকের।
পরদিন বগুড়া থেকে দু’টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর ওই আরেক ব্যক্তির নমুনা নেওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রামেকের এই ল্যাবে মূলত রাজশাহী বিভাগের আট জেলার রোগীদের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।