স্বাস্থ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে এক বৈঠকে জরুরি ভিত্তিতে পুরো দেশ লকডাউন করার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীর।
সোমবার (৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্সের (বিসিপিএস) অডিটোরিয়ামে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে এক জরুরি বৈঠকে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এসময় প্রফেসর আহমেদুল কবীর এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, দেশে সামনে কঠিন সময় আসছে। এখনই পুরো দেশে লকডাউন করা জরুরি। তা না হলে এ ভাইরাস আগামী ১০ দিনে ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে। পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দেশের মানুষের কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে শক্ত অবস্থানে যাবার অনুরোধ জানান।
সভায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. দীন মোহাম্মদ বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান এবং এখনই শক্ত অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ করেন মন্ত্রীকে।
বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীর জানান, সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সবার কথা শোনেন ও দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এ সময় চিকিৎসক পরিষদ নেতৃবৃন্দ চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধাদি বৃদ্ধি করার ব্যাপারেও মন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সভায় বলেন, করোনাভাইরাস বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে বিস্তার লাভ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আরো ২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন এবং চারজন মারা গেছেন। সুতরাং আগামী ১০ থেকে ১৫ দিন আমাদের সবার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই আগামী ১৫ দিন আমরা যেন কেউই অতি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হই। আর একান্তই যদি জরুরি কাজে বের হতে হয়, তাহলে মুখে মাস্ক ব্যবহার না করে কেউই ঘরের বাইরে যেন বের না হই, সে ব্যাপারে সবারই সচেতন থাকতে হবে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, স্বচিপ সভাপতি ইকবাল আর্সেনাল, সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ, ডা. দীন মোহাম্মদ, বাংলাদেশ মেডিসিন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর আহমেদুল কবীরসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।