করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে গিয়ে বিব্রত হয়েছেন বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আলমগীর কবীর।
জানা গেছে, শিবগঞ্জ উপজেলার এক ব্যক্তি জাতীয় তথ্য হেল্প নম্বর ৩৩৩ এ ফোন করেন। তিনি বলেন, তার ঘরে কোনো খাবার নেই, এলাকার কেউ সহযোগিতায় এগিয়ে আসেননি।
বাধ্য হয়ে তিনি ৩৩৩ নম্বরে খাদ্য সহযোগিতা চান। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জরুরি ত্রাণ সহযোগিতা পৌঁছে দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সোমবার (৬ এপ্রিল) শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবীর প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে হাজির হন ওই ব্যক্তির বাড়িতে।
তিনি গিয়ে দেখতে পারেন পরিবারটি অসচ্ছল নয়। ওই ব্যক্তির বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তার এক ভাই ইনকাম ট্যাক্সে চাকরি করেন। এসময় ওই ব্যক্তির বাবা তার সন্তানের এমন কাজে বিব্রত বোধ করেন। পাশাপাশি খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যাওয়া লোকজনও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।
উল্লেখ্য, এর আগের দিন রোববার (৫ এপ্রিল) শিবগঞ্জের ইউএনও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা দেন যে, যারা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে লজ্জা বা সংকোচ বোধ করবেন তাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করছি। তাহলে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে যাবে তার বাড়িতে। ইউএনও'র এই মানবিকতার সুযোগ নিয়ে একজন সচ্ছল ব্যক্তি ত্রাণের জন্য জরুরি সেবা নম্বরে ফোন দিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলমগীর কবীর, সচ্ছল ব্যক্তিদের জরুরি সেবা নম্বরে ফোন না দিতে এবং অসচ্ছল পরিবারের ত্রাণ গ্রহণ না করতে সবার প্রতি আবারো অনুরোধ করেছেন।