করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য চলতি মাস বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তেজগাওস্থ সি.এম.এইচ.ডি (কেন্দ্রীয় ওষুধাগার) ভবনে অ্যাম্বুল্যান্স গাড়ি বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা এখন লকডাউন অবস্থায় আছি। বিদেশ থেকে যারা এসেছেন তাদের অনেকই সঙ্গরোধে (হোম কোয়ারেন্টাইন) ছিলেন, এখনও অনেকে আছেন। যথাযথ ব্যবস্থার কারণেই আমাদের দেশে করোনা পরিস্থিতি পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় অনেক ভালো। করোনার সময়ে ৯ লাখ মানুষ বাইরে থেকে এসেছেন। তার পরেও আমরা ভালো আছি। এই মাসটা খুব ক্রিটিকাল, এই মাসে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা মােকাবিলায় সকল পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঠিকভাবে দায়িত্বপালন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক আমাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। যেসব এলাকায় বাড়িতে করোনা রোগী আছে সেগুলোর দিকে বেশি করে লক্ষ্য রাখতে হবে। আমরা টেস্টিং বাড়াচ্ছি। অল্প সময়ের মধ্যে ১৭/১৮ টি ল্যাব শুরু করেছি। আগামীতে আরো ১০টি ল্যাব চালু হবে। উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের খেয়াল রাখতে হবে টেস্টিং যেন ভালো হয়, আরো বেশি সংখ্যক টেস্টিং যেন হয়। বিশেষ করে যারা বিদেশ থেকে এসেছেন, আর তাদের আশপাশে যারা আছেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করে নিকটস্থ ল্যাবে পাঠাবেন।
তিনি আরও বলেন, করোনার প্রথম হাতিয়ার সংক্রমণ রোধ করা। তাহলে বিপদ থেকে আমরা উঠে আসতে পারব। সিঙ্গাপুর ও জাপানে নতুন করে আবার লককডাউন করেছে। আমরাতো লকডাউনের মধ্যেই আছি। আমাদের লকডাউন আরো কার্যকর করতে গতকাল (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন। এমনকি মসজিদের কয়জন নামাজ পড়বে তাও তিনি ঠিক করে দিয়েছেন। সৌদি আরবের মসজিদতো অনেক আগেই বন্ধ করে দিয়েছে, তারা কারফিউ জারি করেছে। আমাদের দেশের মানুষ কখন বাজারে যাবে সে সময়ও প্রধানমন্ত্রী বলে দিয়েছেন।