তামাক করোনা সংক্রমণকে ত্বরান্বিত করে এবং এটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে ধূমপানের কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় করোনা থেকে বাঁচতে সিগারেট বিক্রয়ের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছে তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সিগারেট বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অথচ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে দুইটি বহুজাতিক তামাক কোম্পানিকে (সংযুক্ত) সিগারেট উৎপাদন, বিপণন ও তামাক পাতা ক্রয় অব্যাহত রাখার সুযোগ প্রদান করা হলো।
শিল্প মন্ত্রণালয় অতি সম্প্রতি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে সকল বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি প্রদান করেছে।
বাংলাদেশে করোনা সংকট মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বিভিন্ন পদক্ষেপ দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে এবং সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আশার সঞ্চার করেছে। এ অবস্থায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই জনস্বাস্থ্য বিরোধী পদক্ষেপ জনমনে হতাশা সৃষ্টি করতে বাধ্য।
এমতাবস্থায়, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে এই নির্দেশনা প্রত্যাহার করে করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় দক্ষিণ আফ্রিকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সিগারেট বিক্রয়ের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছেন তামাকবিরোধী সংগঠন বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি, বিসিসিপি, এসিডি, ইপসা, এইড ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট, বিএনটিটিপি, বিটা, গ্রাম বাংলা উন্নয়ন কমিটি, নাটাব, প্রত্যাশা, টিসিআরসি, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, উফাত, তাবিনাজ, ভয়েস, ডব্লিউবিবি ট্রাস্ট, অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স- আত্মা এবং প্রজ্ঞা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ৩ কোটি ৭৮ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাক ব্যবহার করে এবং প্রায় ৪ কোটি ১০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ নিজ বাড়িতেই পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।