কাদেরকে বাসা থেকে বের হতে মানা করেছি: প্রধানমন্ত্রী

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-19 20:48:19

করোনাভাইরাসের সংকট চলাকালীন সময়ে সতর্কতার কারণে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে বাসা থেকে বের হতে নিষেধ করেছেন  প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের সাথে অবশ্য মন্ত্রী থাকতে পারত। কিন্তু তাকে আমি বাসা থেকে বের হতে মানা করেছি,  ওবায়দুল কাদেরকে কোথাও যেতে না করেছি।

মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর সাথে মতবিনিময়ের সময় নোয়াখালী জেলার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ কথা জানান। দুই বিভাগের ১৫টি জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার এমন কড়া নির্দেশনার কারণে ওবায়দুল কাদের গত কয়েকদিন থেকে ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়েও উপস্থিত হচ্ছেন না। তিনি তার জাতীয় সংসদ ভবনের ভেতরে সরকারি বাসভবনে বসেই ভিডিও কনফারেন্সেও সমসাময়িক ইস্যুতে গণমাধ্যমে কথা বলছেন।

জেলা প্রশাসক নোয়াখালী জেলার করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন করণীয় ও পদক্ষেপ তুলে ধরেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা ডা. মমিনুর রহমান মতবিনিময় করেন। তিনি নোয়াখলী জেলার করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণের দাবি করেন। তার প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনাদের হাসপাতালটা কত বেডের?  তার জবাবে জেলা সিভিল সার্জন জানান, ২৫০ বেডের প্রধানমন্ত্রী কিন্তু আমাদের এখানে রোগী থাকে ৭০০ থেকে ৮০০ জন।

তারপর প্রধানমন্ত্রী জেলায় নতুন যে মেডিকেল কলেজ করা হয়েছে তার অবস্থা জানতে চান এবং সিভিল সার্জন অফিসার বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ওখানে এখনো হয়নি। কিন্তু পুরনো হাসপাতালটা পরিত্যক্ত রয়েছে এবং এটার টেন্ডারও আহ্বান করা হয়েছে কিন্তু নির্মাণ কাজ এখনো শুরু হয়নি। সেজন্য সংকট।

প্রধানমন্ত্রী হাসপাতালের নির্মাণ কাজ যাতে দ্রুত হয় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন এবং তিনি বলেন, ওটা তো মডার্ন হাসপাতাল হবে।

সিভিল সার্জনের কাছে প্রধানমন্ত্রী যারা বিদেশে থেকে এসেছে যাদেরকে পরীক্ষা করা হয়েছে কি না সে বিষয়টি জানতে চান। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন,  যাদের স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা করালেন, এটা তো একবরাই পরীক্ষা করা হলো। আমার মনে হয় আরো একবার করলে একদম শিউর হওয়া যাবে। ৭দিন পরে আরেকবার করলে ভাল হবে।

সবশেষে নোয়াখালীর প্রতিনিধিদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঠিক আছে আপনারা ভাল থাকেন, করোনামুক্ত একটা জেলা এটাই সব থেকে বড় কথা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর