কারাবন্দীদের মুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ব্লাস্ট

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 19:14:59

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দীর্ঘদিন ছোটখাটো অপরাধের কারাভোগ করা কারাবন্দীদের মুক্তিপ্রদান সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)।

এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্লাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়-দীর্ঘদিন ছোটখাটো অপরাধের কারাভোগ করা কারাবন্দীদের মুক্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী সোমবার (০৬ এপ্রিল) নির্দেশ দিয়েছেন। ব্লাস্ট সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ব্লাস্ট কারাবন্দীদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং তাদের মানবাধিকার সুরক্ষায় মুক্তিপ্রদানে সামগ্রিক নির্দেশনার জন্য গত ২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নিকট অনুরোধ জানিয়েছে । একটি আইন সহায়তা ও মানবাধিকার সংস্থা হিসেবে কারাগারে আটক ব্যক্তিদের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির বিষয়ে ব্লাস্টের উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করে।

পাশাপাশি চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, “বর্তমানে সারাদেশে ৬৮টি কারাগারে প্রায় ৯০ হাজার কারাবন্দী রয়েছে যেখানে কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪০ হাজার। তাছাড়া বর্তমানে ফৌজদারী আদালতসমূহ সাধারণ ছুটির আওতায় রয়েছে।” ফলে আদালত থেকে দ্রত মুক্তির আদেশ পাওয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য যে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট ফৌজদারি আদালত সমূহে দি প্রবেশন অব অফেন্ডারস অর্ডিন্যান্স, ১৯৬০ এর বিধান প্রতিপালনের জন্য দেশের সকল বিচারক এবং ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমান উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের জরুরী অবস্থা ও উপরোক্ত আইনের মূলনীতি বিবেচনায় নির্দিষ্ট দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে কারাগার থেকে সাময়িক বা শর্তসাপেক্ষে বা প্রবেশনে মুক্তির নির্দেশনা প্রদান মানবিক ও অতীব জরুরি বিষয় বলে ব্লাস্ট উল্লেখ করেন।

বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত, যুক্তরাজ্য, ইরান, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে কারাবন্দীদেরকে মুক্তি দিচ্ছে।  

বাংলাদেশে কারাবন্দীদের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং তাদের মানবাধিকার সুরক্ষায় সুপ্রিম কোর্টের একটি সামগ্রিক নির্দেশনা প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ব্লাস্টের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়। ব্লাস্ট প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ফরেনার্স অ্যাক্ট এর আওতায় আটককৃত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীসহ যারা ছোটখাট অপরাধে আটক বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও নারী কারাবন্দীদের জনন্বাস্থ্যের স্বার্থে মুক্তিপ্রদানের আবেদন করছে। আমরা বিশ্বাস করি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ ভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধ এবং জীবনহানি কমিয়ে আনতে অবদান রাখবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর