রইল বাকি পাঁচ

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 23:29:19

ঢাকার নিম্ন আদালত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ১৫ আসামিকে ফাঁসির রায় দিলেও হাইকোর্ট ১২ জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রাখেন। ৩ জনকে খালাস প্রদান করেন।

বিভিন্ন সূত্রে তথ্য মতে মামলা চলাকালীন ২০০২ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা যান ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তৎকালীন লে. কর্নেল আজিজ পাশা।

অপর ১১ আসামির মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ২০১০ সালের ২৭ জানুয়ারি। তারা হলেন- সাবেক মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) ফারুক রহমান, কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, একেএম মহিউদ্দিন (ল্যান্সার) ও লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি)।

তাদের মধ্যে বজলুল হুদাকে থাইল্যান্ড ও মহিউদ্দিন আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে এনে দণ্ড কার্যকর করা হয়।

খুনের পর ৪৫ বছর ধরে পলাতক ছিলেন বাকি ৬ আসামি। তারা হলেন, লে. কর্নেল (বরখাস্ত) খন্দকার আব্দুর রশিদ, মেজর (বরখাস্ত) শরিফুল হক ডালিম, মেজর (অব) নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান, লে. কর্নেল (অব) রাশেদ চৌধুরী ও ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল মাজেদ।

সোমবার ( ৬এপ্রিল) দিবাগত রাতে ক্যাপ্টেন (অব) আব্দুল মাজেদ গ্রেফতার হলে মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

জীবিত ১১ আসামির মধ্যে এখন পলাতক রয়েছেন ৫ আসামি। তাদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড এলার্ট জারি রয়েছে। প্রতি ৫ বছর পরপর তা নবায়ন করা হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পলাতক ৫ আসামির একজন মেজর (অব) নূর চৌধুরী কানাডায় ও লে. কর্নেল (অব) রাশেদ চৌধুরী আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

বাকি ৩ আসামির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য সরকারের কাছে নেই। তবে রিসালদার মোসলেহ উদ্দিন খান পাকিস্তানে আছেন মর্মে শোনা যায়। বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান সরকারকে মোসলেহ উদ্দিনের বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তারা কোন উত্তর দেননি। ফলে তার পাকিস্তানে অবস্থান করার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।

রশিদ ও ডালিমের বিষয়েও সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কোন তথ্য নেই সরকারের কাছে। তবে তারা ইউরোপ কিংবা আফ্রিকার কোন দেশে অবস্থান করছেন এই দুইজন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর