করোনা সংকট মোকাবিলায় উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সব পণ্য পরিবহন ব্যবস্থা ও বেচা-কেনা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি করোনা পরবর্তী সময়ে বসতবাড়ির আঙিনাসহ সব পতিত জমিতে শাক-সবজি, ফলমূল ও অন্যান্য ফসল চাষ করার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) এসব বাস্তবায়নে অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয় মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মধ্যেও উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত সব পণ্যকে জরুরি বিবেচনায় পরিবহন ও বেচা-কেনা যথারীতি অব্যাহত থাকবে। সেচ ভবন প্রাঙ্গণে কৃষক কর্তৃক উৎপাদিত নিরাপদ সবজি সরাসরি বিক্রির জন্য প্রতি শুক্র ও শনিবারের কৃষকের বাজারে আসা কৃষি পণ্যবাহী গাড়ি ও সংশ্লিষ্ট কৃষকদের চলাচল অব্যাহত থাকবে। সব কৃষি পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল এবং এ সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তিরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
এছাড়া আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিশ্চিত করতে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপণ, সেচসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং এর দপ্তর ও সংস্থা এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করতে হবে। কারোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি কমাতে নিজের এবং কৃষকের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
এছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করে ন্যায্য মূল্য পেতে পারে, সেজন্য ত্রাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণযোগ্য খাদ্যসামগ্রীতে আলুসহ নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরণযোগ্য ত্রাণসামগ্রীতেও নিত্য প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।