করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দিশেহারা মানুষ। শুধু যে মানুষ তাই না। সকল পশু পাখি যেন এখন নিদারুণ কষ্টে দিন কাটছে। বিশেষ করে যে সকল প্রাণী মানুষের উচ্ছিষ্ট খেয়ে বাঁচে যেমন কুকুর, বিড়াল। হোটেল, রেঁস্তোরা রাস্তার খাবার দোকান ও বাড়িগুলো লকডাউন হওয়ায় কুকুর বিড়ালের খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। কেউ কেউ ব্যক্তি উদ্যােগে কিছু কুকুর বিড়ালের খাবারের ব্যবস্থা করছেন।
তবে এবার কুকুরের প্রতি সহানুভূতি দেখালেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তার এমন মহানুভবতায় স্বামী বিবেকানন্দের সেই কবিতার লাইন দু'টি মনে পড়ল জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) মিরপুর ১১ নম্বর থেকে আসিফ হাসান নামের এক ছাত্র মেয়র আতিকুল ইসলামকে ফোন করেন। ফোন করে জানান, এই এলাকায় বেশ কয়েকটি কুকুর রাস্তায় খাবার না পেয়ে খুব কষ্টে আছে, আমি দুই দিন দিয়েছি। আপনি যদি একটু সহযোগিতা করেন তাহলে কুকুরগুলো বেঁচে যাবে। ফোনেই কথা দিলেন মেয়র আমি সহযোগিতা করব। সকালে ফোন বিকেলের মধ্যে আসিফ হাসানের কাছে পৌঁছে গেল ৩ হাজার টাকা।
সেই টাকা দিয়ে ৪০ কেজি চাল কিনেছেন আসিফ হাসান। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আসলে আমি ডিএনসিসির ওয়েবসাইট থেকে মেয়রের নম্বর নিয়ে ফোন করে কুকুরের খাবারের বিষয়ে কথা বলি। মেয়র আমাকে টাকা দিয়েছেন সেই টাকা দিয়ে ৪০ কেজি চাল কিনেছি। তাতে এই এলাকার কুকুরগুলোর অন্তত ১৫ দিন চলে যাবে বলে আশাকরি।
তিনি বলেন, মেয়র আতিকুল ইসলাম আংকেলকে আন্তরিক ভালোবাসা। তিনি শুধু অসহায় মানুষের পাশে নয়, নিরীহ প্রাণীদের পাশেও দাঁড়িয়েছেন।
আসিফ বলেন, কুকুরের কষ্টের কথা শুনে উনি ওদের খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। আগামী ১৫ দিন মিরপুর ১০ ও ১১ বেনারসি পল্লির ১৫/২০টা কুকুর (যারা খাবার একদমই পাচ্ছে না) সেগুলোর খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যাবে।
শুধু মিরপুরে নয় মেয়র আতিকুল ইসলাম তার একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী রিশাদ মোর্শেদকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের যত কুকুর আছে সব কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করতে। মেয়রের নির্দেশ মোতাবেক মোর্শেদ খাবার কিনে কুকুরের খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।
এখন থেকে প্রতিদিন চার নম্বর সেক্টরের সকল কুকুরের খাবারের ব্যবস্থাও হয়ে গেছে।