ফরিদপুর মেডিকেলের ১৬টি ভেন্টিলেটরই নষ্ট

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফরিদপুর | 2023-08-24 00:18:42

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ফমেক) আলোচিত সেই পর্দার সাথে ক্রয় করা ১৬টি ভেন্টিলেটরের সবগুলোই নষ্ট। এগুলি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ শয্যা বিশিষ্ট আইসিইউতে (ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) রয়েছে।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. সাইফুর রহমান জানান, প্রায় পাঁচ বছর আগে এই হাসপাতালে আইসিইউ ইউনিট চালু কারতে ১৬ শয্যার আইসিইউ এর জন্য ১৬টি ভেন্টিলেটর আনা হয়। কিন্তু সম্প্রতি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার পর ওই ১৬টি ভেন্টিলেটর পরীক্ষা করে দেখেছি যার একটিও কাজ করে না।

ফরিদপুর জেলায় ২০ লক্ষাধিক মানুষের জন্য ছিলো ফমেক হাসপাতালে ১৬টি ভেন্টিলেটরই। আর সেটিও এখন নষ্ট । জীবন রক্ষাকারী ভেন্টিলেটর বা কৃত্রিম পদ্ধতিতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখার ওই ১৬টি যন্ত্র ছাড়া ফরিদপুরের সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের কোন হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই।

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ১১৫ শয্যার এ হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সুবিধা নেই।

ফরিদপুর বিএমএ সভাপতি আসম জাহাঙ্গীর চৌধুরী বলেন, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওই ১৬টি ভেন্টিলেটর ছাড়া ফরিদপুরের সরকারি কিংবা বেসরকারি পর্যায়ের কোন হাসপাতালে ভেন্টিলেটর নেই।

তিনি বলেন, ফরিদপুর ডায়াবেটিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ফরিদপুর হার্ট ফাউন্ডেশন, ফরিদপুর ডা. জাহেদ মেমোরিয়াল শিশু হাসপাতাল, আরোগ্য সদনসহ ফরিদপুরের লব্ধ প্রতিষ্ঠিত বেসরকারি কোন হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের সুবিধা নেই।

প্রসঙ্গত, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ স্থাপনের ১০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ক্রয়ের অনিয়মের প্রমাণ মেলায় দুদকে মামলা চলছে। ওই ঘটনায় ৩৭ লাখ টাকায় এক একটি পর্দা কেনার অভিযোগ উঠে। ওই সময় একই সাথে এই ভেন্টিলেটরগুলোও কেনা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৫ বছর পর ভেন্টিলেটরগুলো চালু করতে গিয়ে দেখা গেল সবগুলোই নষ্ট।

এ সম্পর্কিত আরও খবর