প্রতিদিন মহাজনসহ শত শত মানুষের বকুনি খেতে হয় হোটেল শ্রমিকদের। তবুও দিনশেষে সংসার চালানোর সামান্য টাকা পেয়ে সব ভুলে যায় সারাদিনের ক্লান্তি । করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে হাট-বাজারের সব হোটেল বন্ধ করে দিয়েছে দোকান মালিকরা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়ে হোটেল শ্রমিকরা।
এসব শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। এসময় তারা বলেন, জমানো সব টাকা-পয়সা শেষ, এখন ছেলে-মেয়েদের কি খাওয়াবো। আমাদের খাবার দিন, না হলে খাবরের অভাবে মরে যাবো। না খেয়ে মরতে চাই না।
অবস্থান কর্মসূচি শেষে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মণ রায়সহ শতাধিক কর্মহীন হোটেল শ্রমিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন দেয় অফিসে দায়িত্বে কর্মচারীর হাতে।
জানা গেছে, প্রায় ৩’শ জন হোটেল শ্রমিক হাতীবান্ধা উপজেলা বিভিন্ন হাট-বাজারে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু করোনার কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে হাট-বাজারের ঝুঁকি কমাতে সব হোটেল বন্ধ করে দেয় হোটেল মালিকরা। বন্ধ হওয়ার পর থেকেই কর্মহীন মানুষরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। বাড়িতে গিয়ে তারা বসে বসে দিন কাটাচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে বুধবার দুপুরে শতাধিক কর্মহীন হোটেল শ্রমিকরা উপজেলা অফিসার ( ইউএনও) সামিউল আমিনের কাছে যায়। কিন্তু দেখা না পেয়ে অবস্থান নেয় উপজেলা পরিষদের সামনে। পরে প্রায় দেড়ঘণ্টা পর হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মণ রায়সহ কর্মহীন হোটেল শ্রমিকরা মিলে আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মণ রায় বার্তা২৪.কম-কে জানান, দোকান পাট বন্ধ হওয়ার পর থেকেই তারা কর্মহীন হয়ে পড়ে। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সারা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন জানান, করোনাভাইরাস মোকাবিলার কাজে বাইরে থাকায় হোটেল শ্রমিকদের সাথে দেখা হয় নি। পরে তাদের বলা হয়েছে অফিসে এসে দায়িত্বে থাকা কর্মচারীর হাতে আবেদন পত্রটি দিতে। বিষয়টি অবশ্যই গুরত্বর সাথে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।