অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

, জাতীয়

কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ | 2023-08-28 14:57:41

চৈত্রের শেষ প্রায়। অন্য বছর এই সময়ে হবিগঞ্জের হাওরে হাওরে ধান কাটার উৎসব শুরু হয়। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে এ বছর ভিন্ন রূপ দেখা গেল। এখনো হাওরের কোনো জমিতেই ধান পাকেনি। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা।

একদিকে পাকা ধান নিয়ে বন্যার কবলে পড়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে ধানের ফলন নিয়ে কৃষকের যত দুশ্চিন্তা। সব মিলে ভালো নেই হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চলের কৃষকরা।

জানা গেছে, হবিগঞ্জের ৯টি উপজেলায় ধানের বাম্পার ফলন হয়। কিন্তু গত বছর ছাড়া বিগত ৩-৪ বছর ধরে বন্যায় ফসলহানির ঘটনা ঘটে। এতে বিশাল অঙ্কের লোকসানের পাশাপাশি পথে বসেন কয়েক হাজার কৃষক। আর গত বছর বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্যমূল্য না পেয়ে এ বছর বোরো চাষ কমিয়ে দেন কৃষকরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় এ বছর ১ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে শুধুমাত্র ১ লাখ ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়।

এদিকে, চলতি বোরো মৌসুমে দেখা দেয় অনাবৃষ্টি। ফলে অধিকাংশ জমি শুকিয়ে মাটির উর্বর শক্তি নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া ধানের শীষ দেরিতে বের হয়। এখন পাকা ধান ঘরে তোলার সময় হলেও কোনো জমির ধান পাকেনি। এতে বন্যায় ফসলহানির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

বানিয়াচং উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের কৃষক লক্ষণ দাস জানান, জমিতে চাষ করা ধান ঘরে তুলতে তুলতে বৈশাখ প্রায় শেষ হয়ে যাবে। এতে আগাম বন্যা না হলেও অনেক জমির ধান ঘরে তোলা সম্ভব হবে না।

তিনি আরও জানান, পানি না থাকার কারণে ধান গাছের গোড়া শুকিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে ধান পাকা শুরু করলে গাছ মাটিতে শুয়ে যাবে। এতে ধান কাটতে অতিরিক্ত শ্রমিক লাগবে এবং ধান ঝরে যাবে।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. তমিজ উদ্দিন খান জানান, বৃষ্টি না হলেও ফসল কম হবে না। এছাড়া ধান কাটা যে খুব একটা পিছিয়ে গেছে তা বলা যাবে না। বৈশাখের শুরু থেকেই কৃষকরা ধান ঘরে তুলতে পারবেন। তাই এতো দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। এছাড়া সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য কৃষি অফিস কৃষকের পাশে আছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর