বাংলা পঞ্জিকার শেষ দিন ৩০ চৈত্র, যাকে বলা হয় ‘চৈত্র সংক্রান্তি’। এর পরদিন উদযাপন করা হয় বাঙালির ঐতিহ্য পহেলা বৈশাখ। আজ শনিবার (১১ এপ্রিল) চৈত্রের ২৮ তারিখ। আর মাত্রা দুদিন পর ১৪২৬-কে বিদায় জানিয়ে শুরু হবে বাংলা নতুনবর্ষ ১৪২৭। একই সঙ্গে বসন্তকে বিদায় দিয়ে প্রকৃতি স্বাগতম জানাবে নতুন ঋতু গ্রীষ্মকে। তাই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু কাল বৈশাখী ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টি জানান দিয়েছে বৈশাখের আগমনী বার্তা।
এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের বৈশাখে পান্তা ইলিশসহ কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে না। হবে না বৈশাখী মেলাও। তাই বাংলার নতুন বছরে যেন দেশের সুদিন ফিরিয়ে আসে এ প্রত্যাশাই করছেন সাধারণ মানুষ।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীতে কড়া রোদ থাকলেও সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হঠাৎ কাল বৈশাখীর মেঘ জমে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। একই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বইছে। তাপমাত্রা আগের থেকে অনেকটাই কমে গেছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ঢাকা, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে, ঢাকা, ফরিদপুর, রাঙামাটি, রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।
এদিকে নদীবন্দরের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে- রাজশাহী, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।