বৈশাখের শুরুতেই ঝড়োবৃষ্টির সম্ভাবনা

, জাতীয়

শাদরুল আবেদীন, নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 06:55:54

চৈত্র মাসের আজ ২৯ তারিখ। আর মাত্র একদিন পর শুরু হবে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। বাংলার ১৪২৬ সালকে বিদায় জানিয়ে বাংলার নতুন বছর ১৪২৭-কে স্বাগত জানানো হবে। একই সঙ্গে বসন্তকে বিদায় দিয়ে প্রকৃতি স্বাগত জানাবে নতুন ঋতু গ্রীষ্মকে। আর এই ঋতুর শুরুতেই ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস বলছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। তাই সপ্তাহ জুড়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কালবৈশাখী ঝড় হতে পারে। এছাড়া আগামী পাঁচ দিন বৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

রোববার (১০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীতে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতা বাড়ে। মাঝে মাঝে আকাশ মেঘলা দেখা গেছে। ঢাকায় বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে।

গত শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হঠাৎ কাল বৈশাখীর মেঘ জমে শুরু হয় ঝড়ো বাতাস। বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ হালকা বৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। এছাড়া এদিন রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙ্গা ও কুমারখালী অঞ্চলে ঝড়সহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘১৫ থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কিছু কিছু জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হতে। হালকা বৃষ্টিও হতে পারে। তবে বেশি সময় থাকবে না। এ সময় তাপমাত্রাও কিছুটা কমতে পারে। এছাড়া রাঙামাটির উপর দিয়ে যে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা আরও বিস্তার লাভ করতে পারে।’

রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে রাঙামাটিতে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাঙামাটিতে ৩৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাঙামাটি অঞ্চলের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে তাপপ্রবাহ বিস্তার লাভ করতে পারে। এছাড়া আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাংলাদেশেও রয়েছে। তাই এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের বৈশাখে পান্তা ইলিশসহ কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে না। হবে না বৈশাখী মেলাও। তাই বাংলার নতুন বছরে যেন দেশের সুদিন ফিরে আসে এ প্রত্যাশাই করছেন দেশবাসী।

এ সম্পর্কিত আরও খবর